নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শুরুর আগে থেকেই বিকর্ত যেন নিত্য সঙ্গী এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। উল্টো ক্রিকেট আর বিনোদন যেখানে এক সুঁতোয় গাঁথা তার ছিটে-ফোঁটাও নেই দেশের ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের জমজমাট নবম আসরে। ধুন্ধুমার টি-টোয়েন্টির বিনোদন দেয়া তারকা ক্রিকেটার খুব বেশি নেই, ছিলো না আলোঝলমলে কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও। তবে সেই ঘাটতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিয়েছেন একজন- স্যার কার্টলি অ্যামব্রোস।
না, খেলতে আসেন নি ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। সেটা মজার ছলে নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘বিপিএলের অংশ হতে এখানে এসেছি...। বলতেই বলতেই কার্টলি অ্যামব্রোসের মুখে চওড়া হাসি, ‘তবে ক্রিকেট খেলতে আসিনি, এমন কিছুর প্রত্যাশা করে ফেলবেন না যেন!’তবে কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারকে পাচ্ছে বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। এই ৫৯ বছর বয়সে অবশ্যই তিনি ক্রিকেট খেলবেন না। কোচিং করাতেও তিনি আসেননি। বিসিবির ভিডিও বার্তায় এই ফাস্ট বোলিং গ্রেট জানিয়ে দিলেন তার আসার উদ্দেশ্য, ‘ধারাভাষ্য আমি উপভোগ করি। তাই দারুণ কিছু সময় কাটানোর অপেক্ষায় আছি।’
মাঠের মতো বিপিএলে বড় তারকার অভাব আছে ধারাভাষ্য কক্ষেও। অবশেষে একজনকে অন্তত পাওয়া গেল। ধারাভাষ্যকার হিসেবে অবশ্য অ্যামব্রোস খুব পরিচিত বা জনপ্রিয় নন। তবে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটে ইদানিং তিনি নিয়মিতই ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। গত জুন-জুলাইয়ে বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ধারাভাষ্যকার ছিলেন অ্যামব্রোস। ওই সফরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও ওয়ানডেতে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ, ‘খুব বেশি দিন হয়নি, ওরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েছিল। আমি ধারাভাষ্য দিয়েছি তখন। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেশ বাজেভাবে হারিয়েছিল ওরা। বেশ কিছু ভালো ক্রিকেটার আছে এখানে। ওরা কেমন করে, দেখতে মুখিয়ে আছি।’
সর্বকালের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন মনে করা হয় অ্যামব্রোসকে। ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর স্পেলগুলোর কয়েকটি করেছেন তিনি। ছন্দে থাকলে তিনি ছিলেন ব্যাটসম্যানদের জন্য বিভীষিকা। ৯৮ টেস্টে ৪০৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি, ১৭৬ ওয়ানডেতে উইকেটে ২২৫টি। এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অ্যামব্রোস বাংলাদেশে খেলেছেন স্রেফ দুটি ওয়ানডে, দুটিই ১৯৯৯ সালে। নব্বইয়ের দশকে কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে মিলে দুর্দান্ত এক পেস জুটি গড়ে তুলেছিলেন তিনি। যদিও দুজনের ধরন ছিল আলাদা। তাইতো কিংবদন্তি এই পেসারকে কাছে পেয়ে একটু ‘টিপস’ পেতে মুখিয়ে ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা থেকে শুরু করে মোহাম্মদ আমির পর্যন্ত। মাশরাফি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন অনেক দিন হলো, এখন খেলছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। গতকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে টস করতে যাওয়ার আগে সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ককে বুকে টেনে নিলেন অ্যামব্রোস, জানালেন শুভেচ্ছাও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।