Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২৩ দিনের ব্যবধানে কোচ-দম্পতির করুণ বিদায়

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০১ এএম

ছয় বছর পর আইসিসির আসরে ফিরেই চমক দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সিকান্দার রাজা-শন উইলিয়ামসরা প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকানোর পর সুপার টুয়েলভ পর্বে হারিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তানকে। জিম্বাবুয়ের সেই দলে থাকার কথা ছিল শেফার্ড মাকুনুরার। খেলোয়াড় নয়, ফিল্ডিং কোচ হিসেবে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া হয়নি। মাঠেও আর ফেরা হয়নি। গত ১৫ ডিসেম্বর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন ৪৬ বছর বয়সী মাকুনুরা। স্বামী মাকুনুরার মৃত্যুশোক হয়তো সইতে পারেননি জিম্বাবুয়ে নারী দলের সহকারী কোচ সিনিকিউই এমপোফু। মাত্র ২৩ দিনের ব্যবধানে তিনিও ওপারে মাকুনুরার সঙ্গী হয়েছেন। গত শনিবার জিম্বাবুয়ের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাসভিঙ্গোর নিজ বাড়িতে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে ছিলেন ৩৭ বছর বয়সী এমপোফু। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মাকুনুরা-এমপোফু দম্পতি বিশ্ব ক্রিকেটে খুব পরিচিত নাম না হলেও জিম্বাবুয়ের ক্রীড়াঙ্গনের সবাই চিনতেন তাঁদের। দুই সন্তানকে অনাথ বানিয়ে কোচ দম্পতির অকালমৃত্যুতে দেশটির ক্রিকেটে এখন শোকের ছায়া। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিভমোর মাকোনি এক শোকবার্তায় বলেছেন, ‘স্বামীর কয়েক সপ্তাহ পরেই স্ত্রীরও মারা গেলেন। তারা দুজনই আমাদের কোচিং স্টাফের সদস্য ছিলেন। তাঁদের ছোট্ট দুই সন্তান, পরিবার, বন্ধু ও পুরো ক্রিকেট-সমাজের জন্য সময়টা ভীষণ কঠিন ও বেদনাদায়ক। সবাইকে আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’
কোচিং পেশায় নাম লেখানোর আগে খেলোয়াড় ছিলেন সিনিকিউই এমপোফু। বলা যায়, জিম্বাবুয়ের নারী ক্রিকেট ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল মুহূর্তের অংশ হয়ে আছেন তিনি। ২০০৬ সালে দেশটির নারী দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের সদস্য তিনি। ২০১১ সালে বাংলাদেশে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বেশ কয়েকটি ম্যাচও খেলেছেন। এমপোফুই প্রথম পেশাদার জিম্বাবুইয়ান নারী ক্রিকেটার, যিনি পরবর্তী সময়ে কোচ হয়েছেন। জাতীয় নারী দলের প্রধান কোচ গ্যারি ব্রেন্টের সহকারী হিসেবে কাজ শুরুর আগে ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্বে। কিন্তু স্বামী মাকুনুরার অসুস্থতার কারণে ছুটিতে ছিলেন।
মাকুনুরা অবশ্য কখনো জাতীয় দলে খেলেননি। তবে কোচ হিসেবে ছিলেন সমাদৃত। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ছিলেন জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ। ২০১৮ সালে পান ‘এ’ দলের দায়িত্ব। টানা চার মৌসুম জিম্বাবুয়ের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির শিরোপাজয়ী একমাত্র কোচ ছিলেন মাকুনুরা। সেই সাফল্যের সুবাদে হয়েছিলেন রাজা-উইলিয়ামস-আরভিনদের ফিল্ডিং কোচ। কিন্তু শারীরিক জটিলতা তাঁকে আর ফিরতে দেয়নি মাঠে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ