Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গলার নতুন কাঁটা এডিআরএস

বিপিএল বিতর্ক থামছেই না

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয় দূর করতে রিভিউ নেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু থার্ড আম্পায়ারের কাছে নেই হক আই বা আল্ট্রা এজের মতো প্রযুক্তি। অনেকটা দায়সারা ‘সেøা মোশন রিপ্লে’ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রিভিউয়ের। এভাবেই চলছে বিপিএলের রিভিউ সিস্টেম। বিসিবি যেটির নাম দিয়েছে অল্টারনেট ডিআরএস (এডিআরএস)। এতে স্বচ্ছতার বদলে সংশয় আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন খুলনা টাইগার্সের পেসার পল ফন মিকেরেন।
পল মিকেরেন এই কথা বলছেন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকেই। বিপিএলের ম্যাচে শনিবার মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা ডমিনেটর্সের কাছে খুলনা টাইগার্সের ৬ উইকেট হারের ম্যাচে বিতর্কের জন্ম দেয় এই এডিআরএস। ১১৪ রান তাড়ায় ঢাকার ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের ঘটনা সেটি। নাসুম আহমেদের লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি সুইপ খেলার চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার। ঠিকমতো খেলতে পারেননি। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার গাজী সোহেল। কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন সৌম্য।
হক আই ও আল্ট্রা এজবিহীন রিভিউ সিস্টেমে রিপ্লে দেখে প্রথমে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন টিভি আম্পায়ার। কিন্তু মাঠ ছেড়ে যাননি সৌম্য। বেশ উত্তেজিত দেখা যায় তাকে। খুলনার তামিম ইকবাল গিয়ে চেষ্টা করেন তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যেতে। একটু পরই সিদ্ধান্ত বদলে সৌম্যকে ‘নট আউট’ দেন তৃতীয় আম্পায়ার। এই সিদ্ধান্ত আবার পছন্দ হয়নি তামিমের। আম্পায়ারকে কিছু একটা জিজ্ঞেস করতে দেখা যায় তাকে। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে ‘নট আউটের’ সিদ্ধান্ত। এই ঘটনার সময় ৫ রানে খেলছিলেন সৌম্য। এরপর তিনি বেশি দূর যেতে পারেননি। আউট হয়ে যান দুই চার ও এক ছয়ে ১৩ বলে ১৬ রান করে।
ম্যাচ শেষে খুলনার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন নেদারল্যান্ডসের পেসার পল ফন মেকেরিন। তাকে কাছে এডিআরএসের এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়, ‘প্রথমে তাকে (সৌম্য) আউট দেওয়া হয়। রিভিউ নেওয়ার পরেও শুরুতে আউট দেওয়া হয়। পরে আবার নট আউট! ব্যক্তিগতভাবে আমি নিশ্চিত নই, হক আই বা অন্যান্য প্রযুক্তি ছাড়া রিভিউ সিস্টেম থাকা উচিত কি না। এখন বিষয়টি এমনই। আমার মনে হয়, এখন যেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, এতে স্বচ্ছতার বেশি চেয়ে বেশি তৈরি হবে সংশয়। আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে এমনই মনে হয়। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত আমাদের।’
মাঠে ওই সময় তখন আম্পায়ারদের সঙ্গে তার দলের খেলোয়াড়দের কী আলোচনা হচ্ছিল, তা নিয়ে কোনো ধারণা নেই মিকেরেনের, ‘আমি তখন লং অনে ছিলাম। তাই ঠিক জানি না তখন কী কথা হচ্ছিল বা কী ঘটেছিল। তবে অবশ্যই আমাদের অন্যরা খুব একটা খুশি ছিল না, কারণ সে (সৌম্য) বিপজ্জনক খেলোয়াড়। এরপর আমাদের সামনে তাকাতে হয়েছে এবং ম্যাচ জয়ের চেষ্টা করতে হয়েছে। যা হয়েছে তো হয়েছেই।’
বিপিএলের আগে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মিকেরিনের। কিন্তু ২৯ বছর বয়সী পেসার এমন রিভিউ সিস্টেম দেখলেন প্রথমবার, ‘না, আগে কখনও এমন দেখিনি... এবারই প্রথম। আমি শুরুতে জানতামই না যে আমাদের রিভিউ সিস্টেম আছে। গত রাতে খেলা দেখার সময় দেখতে পেলাম, একটি কট বিহাইন্ডের আবেদনে রিভিউ নেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনো স্নিকো নেই। শুধু ক্যামেরা দিয়েই দেখা হচ্ছিল। সেরা স্কিলের সেরা দল যারা, বেশির ভাগ সময় তারাই ম্যাচ জেতে। পুরো ক্যারিয়ারে আম্পায়ারের কারণে হয়তো ২-৩টি ম্যাচের ফলে প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে সেরা দল হয়ে থাকলে জয় ধরা দেয়।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ