নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কাতার বিশ্বকাপের পর ভায়াদোলিদ ও কাসেরেনোর বিপক্ষে জয় পেতে বহু কাঠখর পোড়াতে হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের। তখনই বুঝা গিয়েছিল সঠিক ছন্দে নেই লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। বলা হয় যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত্রি হয়। সেই প্রবাদ সত্য করে, পরশুরাতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হারের নোনা স্বাদ পেয়ে বসল রিয়াল। ভিয়ারিয়ালের মাঠ লা সিরামিকায় ম্যাচের প্রথমার্ধ গোল শূন্য গেলেও বিরতির পর পরই ইরেমি পিনো স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন। তার ১৩ মিনট পর পেনাল্টি থেকে রিয়ালকে সমতায় ফেরান ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা। পরে সেই স্পট কিক থেকেই জেরার্দ মোরেনোর গোল গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য।
তবে ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে বিশ্ব গণমাধ্যমে ভিন্ন কারণে শিরোনাম মাদ্রিদের অভিজাতরা। লা লিগার ম্যাচটিতে রিয়ালের প্রথম একাদশে ছিলেন না একজন স্প্যানিশ ফুটবলারও! ১৯২০ সালের পর কোনো স্প্যানিয়ার্ড ছাড়া এদিনই যে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল রিয়াল। বিগত ১২১ বছরের ইতিহাসে ৪৪৩৬টি ম্যাচে নূন্যতম একজন স্পেনের ফুটবলার প্রথম একাদশে রেখেই খেলতে নেমেছিল ইউরোপের সফলমত ক্লাবটি। তবে চোটসহ নানা কারণে সবশেষ ম্যাচে সেই ঐতিহ্যে ছেদ আনতে হলো। তাদের বর্তমান ২৪ জনের স্কোয়াডে ৮ জন স্প্যানিশ ফুটবলার আছে। তাদের মাঝে দানি কারভাহাল, লুকাস ভাজকেজ, নাচো ফার্নান্দেজ, মার্কো আসেনসিও, দানি সেবায়োস ও আলভারো ওদরিওজোলা নিয়মিত খেলে থাকেন রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ক্লাবটির হয়ে। অসুস্থতার কারণে কারভাহাল আর মাংসপেশির চোটে ওদরিওজোলা ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ছিলেন না। অনেকে তাই রাইটব্যাকে লুকাস ভাজকেজকে প্রথম একাদশে দেখতে চেয়েছিলেন। তবে রিয়াল বস আনচেলত্তি সেখানেও খেলান ব্রাজিলিয়ান এদের মিলিশোকে। রাইট উইংয়ে আসেনসিওর নামিয়েছেন ফেদেরিকো ভালভের্দেকে। তাতেই ক্লাব ইতিহাসের এক অনাকাক্সিক্ষত রেকর্ড।
ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি জানান, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হয়েছে এবং লড়াই হয়েছে বেশ। তবে আমার মনে হয়, ভিয়ারিয়াল আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। জয়টা তাই তাদেরই প্রাপ্য। আমরা ভালো খেলিনি, বিশেষ করে রক্ষণে। খুব ভালোভাবে রক্ষণ সামলাতে পারিনি আমরা।’ রিয়াল এবং বার্সালোনা, দুই দলেরই পয়েন্ট সমান ৩৮ করে। বার্সা খেলেছে ১৫টি ম্যাচ আর কার্লো আনচেলত্তির দল এক ম্যাচ বেশি খেলেছে। গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় আছে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে রিয়াল।
একই রাতে এফএ কাপের ম্যাচে আলিসন বেকারের করা বড় এক ভুলেই তৃতীয় রাউন্ডের বাঁধা ডিঙাতে ব্যর্থ হল লিভারপুল। গোটা ম্যাচই ছন্দহীন ছিলেন এই গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে অলরেডরা। ম্যাচের শুরুতে গঞ্জালো গুয়েদেসের গোলে পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। ২৬তম মিনিটে সতীর্থের ব্যাক পাস থেকে বল পেয়ে ক্লিয়ার না করে পাস দিতে শট নেন আলিসন। যা সরাসরি চলে যায় বক্সের মধ্যে থাকা গুয়েদেসের পায়ে। সুযোগ হাতছাড়া না করে দলকে এগিয়ে দেন এই পর্তুগিজ। এমনকি হোয়াং হি চ্যানের গোলেও দায় আছে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষকের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দারউইন নুনেজ ও মোহামেদ সালাহর গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। পরে উলভসের পক্ষে সমতা ফেরানো গোলটি করেন হোয়াং হি চ্যান।
তবে ম্যাচে শিশুসূলভ ভুল করা আলিসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে নারাজ ইয়ুর্গেন ক্লপ। অলরেড গোলরক্ষকের কাঁধে আস্থার হাত রেখে লিভারপুল কোচ জানালেন, প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি ছিল না তার শিষ্যের। আলিসনকে আগলে রেখে গুরু ক্লপ জানান, ‘দ্বিতীয় গোলটি হওয়া উচিত ছিল না, তবে আমরা সবাই জানি যে, আলিসন কতবার আমাদের বাঁচিয়েছে। ম্যাচে উলভস পাল্টা আক্রমণ করেছিল। বিশেষ করে টাওরে যখন বল পায়, সবসময়ই তা বিপজ্জনক হয়, আমরা তা দেখতে পাচ্ছিলাম। দারুণ একটি গোলে আমরা সমতা টেনেছিলাম। তারা লড়াই বজায় রেখেছিল এবং আমাদের খুব সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।