Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পরকীয়ার পরিণতি কি এরকমই হয়

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

রশিদ ও মুনিশউদ্দিন ভালো বন্ধু। কিন্তু একজনের স্ত্রীর সঙ্গে আরেক বন্ধুর পরকীয়া, কাল হয়ে দাঁড়ালো বন্ধুত্বে। বন্ধু রশিদকে ছুরি দিয়ে কোপানোর পর, গলার নলি কেটে দেন মুনিশউদ্দিন। হত্যার পর লাশও জ্বালিয়ে দেন। গ্রেফতারের পর পুলিশের জেরায় এসব তথ্য দেন মুনিশউদ্দিন। শনিবার দিল্লির ওয়াজিরাবাদে ঘটে এ ভয়ানক ঘটনা। পুলিশ জানায়, রাম ঘাটে স্থানীয়রা একটি পোড়া দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। এরপর শনাক্ত হয় নিহত ব্যক্তির নাম রশিদ। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তদন্তে নেমে মুনিশউদ্দিনের খোঁজ পায় পুলিশ। রোববার ভোরে রোহিণী থেকে মুনিশউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ বলছে, জেরায় মুনিশউদ্দিন জানিয়েছেন, পরিকল্পনা মতো রশিদকে রাম ঘাটে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে দুজনে মিলে মদ্যপান করেন। তারপর মদ্যপ অবস্থায় রশিদকে ছুরি দিয়ে কোপান, গলার নলিও কেটে দেন। এরপর প্রমাণ না রাখতে তার শরীরেও আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, নিহত রশিদের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠে মুনিশউদ্দিনের। দুজনেই একসঙ্গে কল সারাইয়ের কাজ করতেন তারা। খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। পরস্পরের বাড়িতেও বেশ যাতায়াত ছিল তাদের। এর মাঝে রশিদের স্ত্রীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মুনিশউদ্দিনের। দিল্লি পুলিশ আরও জানতে পারে, রশিদ মদ্যপান করে প্রায়শই স্ত্রীকে মারধর করতেন। রশিদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে চাইতেন তার স্ত্রী। মুনিশউদ্দিনের সঙ্গে তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠায় দুজনে মিলে রশিদকে সরিয়ে দেওয়া পরিকল্পনা করেন তারা। গত ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে মুনিশউদ্দিনকে চাপ দিচ্ছিলেন রশিদের স্ত্রী। তারপরই তারা রশিদকে খুনের পরিকল্পনা করেন। এনডিটিভি, আনন্দবাজার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ