মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পূর্ব ইউক্রেনের ছোট একটি শহর বাখমুতের দখল নিতে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করছে রুশ সেনা। রাশিয়ান পক্ষ খুব সাবধানে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলেও শহরটিকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষেরই ভারি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকরা বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতি হলেও শহরটির দখল নিতে পারা রাশিয়ার জন্য পরে লাভজনকই হবে। রাশিয়ার সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন শনিবার বলেছিলেন যে, তিনি তার বাহিনী এবং নিয়মিত রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে নিয়ে ইউক্রেনের ছোট শহর বাখমুত দখল করতে চান কারণ এতে একটি ‘ভূগর্ভস্থ শহর’ রয়েছে, যেখানে সেনা ও ট্যাঙ্ক নিরাপদে রাখা যাবে।
তিনি বলেন, ‘কেকের উপর থাকা চেরি হল সোলেদার এবং বাখমুতের খনিগুলোর সিস্টেম, যা আসলে ভূগর্ভস্থ শহরগুলির একটি নেটওয়ার্ক। ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গভীরতার এসব টানেলগুলো সেনাবাহিনীর একটি বড় দলকে ধারণ করার ক্ষমতা রাখে। পাশাপাশি ট্যাঙ্ক এবং পদাতিক যোদ্ধা সেখান দিয়ে চলাচল করতে পারে।’
প্রিগোজিনের মতে, রাশিয়া বাখমুতের দখল নিতে পারলে তারা যুদ্ধে বিশেস সুবিধা পাবে। সেখানে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ভূগর্ভস্থ কমপ্লেক্সে অস্ত্রের মজুদ রাখা হয়েছিল। তিনি জানান, এ এলাকার বিশাল লবণ এবং অন্যান্য খনির মধ্যে ১০০ মাইলেরও বেশি সংযোগ টানেল রয়েছে এবং একটি বিশাল ভূগর্ভস্থ কক্ষ রয়েছে, যেখানে একসময় ফুটবল ম্যাচ এবং শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে যে প্রিগোজিন বাণিজ্যিক কারণে এই অঞ্চলে লবণ এবং জিপসাম খনির নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। তবে তারা তাদের কথিত ভূগর্ভস্থ সামরিক ব্যবহারের কোন উল্লেখ করেনি। প্রিগোজিন বাখমুতের দখল নেয়ার বিভিন্ন সুবিধার কথা উল্লেখ করেছেন, তিনি এটিকে অনন্য প্রতিরক্ষামূলক দুর্গের সাথে ‘একটি গুরুতর লজিস্টিক সেন্টার’ বলে অভিহিত করেছেন।
বাখমুত, যাকে রাশিয়া আর্টিওমভস্ক বলে, ইউক্রেনের সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু এবং প্রিগোজিন শনিবার দাবি করেছেন যে, রাশিয়া বাখমুতের উপকণ্ঠে একটি কৌশলগতভাবে-গুরুত্বপূর্ণ বসতি দখল করেছে। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।