Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যাটে-বলে ঢাকার নায়ক নাসির

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

নাসির হোসেন গত বিপিএলে পাননি কোন দলই পাননি। তখন ধরে নেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সময়ের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ফিনিশার হয় ত নিজেই ফিনিশড। এসবের মাঝেও এবারের আসরে ঢাকা ডমিনেটর্স তার উপর আস্তা রেখে দিলেন অধিনায়কত্বের ভার। তবে বিতর্ক কি আর নাসিরের পিছু ছাড়ে? বিপিএলের ট্রফি উন্মোচনের দিনও দায়িত্বহীন কথা বলে সমালোচনার আগুনে পুড়লেন এই অলরাউন্ডার। অবস্থা কত দ্রুত বদলায়, সেই নাসির গতকাল ব্যাটে-বলে হয়ে উঠলেন নায়ক। গতকাল দুপুরেও ছিল ঘন কুয়াশায়র চাদর, তাতে ম্যাচ পিছিয়ে গেল আধঘণ্টা। পরিস্থিতির উন্নতি করা সম্ভব না হলে ফ্লাড লাইট জালিয়ে শুরু হয় মাঠের ক্রিকেট। সেখানে পরিবেশের মতই শীতল ছিল খুলনা টাইগার্সের ব্যাটিং। গোটা ২০ ওভারে তারা ৮ উইকেট খুইয়ে জর করল ১১৩ রান। জবাব দিতে নেমে ৫ বল হাতে রেখে ও ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ঢাকা। ডমিনেটর্স কাপ্তান নাসির ৩৬ রান করার আগে বল হাতে শিকার করেন দুই উইকেট।
মাত্র ১১৪ রানের মামুলি লক্ষ। তবে খুলনার ছুড়ে দেওয়া এই লক্ষ্য তাড়া করতেও ঢাকার খেলা লাগলো শেষ ওভার পর্যন্ত। রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ঢাকা। আহমেদ শেহজাদ হাতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ৪ করে। এরপর সৌম্য সরকারকে নিয়ে ২২ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন দিলশান মুনাবিরা। সৌম্য আউট হন ১৬ রানে ও মুনাবিরা সাজঘরে ফেরেন ২২ করে। এরপর নাসির হোসেন আর উসমান গনি ধরে খেলে দলকে ১০০ পর্যন্ত নিয়ে যান। উসমান) মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকার হলে ভাঙ্গে তাদের ৩৪ রানের জুটিটি। তবে বাকি পথটুকুতে আর কোন বিপদ ঘটতে দেননি নাসির। এই ব্যাটার ৪ বাউন্ডারিতে সমানসংখ্যক বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
মিরপুর শেরে বাংলায় টস জিতে খুলনাকে অনুমিতভাবেই প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান নাসির। তবে ঢাকার জয়ের কৃতিত্বটা বোলারদেরই বেশি। তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেনদের নিয়ে গড়া বোলিং আক্রমণই যে ঢাকার শক্তি, যা গতকাল টের পেয়েছে খুলনা। তাসকিনের ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান নিতে পেরেছে খুলনা। আরেক পেসার আল আমিন হোসেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাহিরে থাকা এই পেসারই মূলত ভেঙ্গে দেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং মেরুদন্ড। তবে দুই স্পিনার নাসির ও আরাফাত সানিও ভালো করেছেন। দুজনের ৮ ওভারে রান এসেছে মাত্র ৫৩, উইকেট ৪টি।
খুলনার ব্যাটসম্যানরাও যেন খেলছিলেন খোলসবন্দি হয়ে। পাওয়ার প্লেতে তাদের হাত খুলতে দেননি তাসকিন। তামিম ইকবালতো টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিলেন ১১ মাস পরে। গতবছর সবশেষ বিপিএল আসরের ১১ ফেব্রুয়ারির পর আর ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে মাঠে নামেননি এই ডেশিং ওপেনার। চোট থেকে ফেরা তামিম ১৫ বল খেলে ৮ রান করে আউট হন সানির বলে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে। আরেক বাঁহাতি শারজিল খানের উইকেট নেন অধিনায়ক নাসির নিজেই। আজম খান শুরুটা করেছিলেন মারকুটে। তবে ১২ বলে ১৮ করে থামতে হয়েছে তাকেও। অধিনায়ক ইয়াসির আলি ধরে খেলে ২৫ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় করেন ২৪ রান। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ইনিংস ছিল আরও ধীরগতির। ২৮ বল খেলে এই অলরাউন্ডার করেন ১৯ রান। শেষদিকে সাব্বির রহমান ১১ বলে অপরাজিত ১১ আর ওয়াহাব রিয়াজ ৩ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১০ রান করলে ১১৩ রানের পুঁজি পায় খুলনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ