Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জয় দিয়ে বিপিএল শুরু নাসিরের ঢাকার

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:৫২ পিএম

বিপিএলের নবম আসরের তৃতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা। দলটি। খুলনার দেয়া ১১৩ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে ১১৭ রান তোলে নাসিরের দল।

মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাসির হোসেন ঢাকার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেটে হারায় তারা।

জাতীয় দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের সাথে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমিছিল পাকিস্তানের তরুণ ওপেনার সিরাজ খান। দলীয় ১১ রানের মাথায় সিরাজ ৭ রান করে নাসির হোসেনর বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে বিদায় নেন। এরপর একে একে বিদায় নেন তামিম ইকবাল ও মুনিম শাহরিয়ার।

মুনিম ৪ ও তামিম ৮ রান করে করে ফিরে যান। দলীয় ২৮ রানে সেরা তিন ব্যাটারকে হারায় দলটি। মাঝে পাকিস্তানের আজম খানকে সাথে নিয়ে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের লড়াই করেন ক্যাপ্টেন ইয়াসির আলী। এবার আজমে বোল্ড করেন স্পিনার আরাফাত সানী। আজম ১৮ রানে বিদায় নেয়ার পর দলকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফেরেন ক্যাপ্টেন  ইয়াসির আলী।

তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ২৪ রান। এরপর পেস আলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের ব্যাট থেকে আসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান। এই ছিল খুলনার সেরা ইনিংস। সাব্বির ১১ রান করে অপরাজিত থাকলেও এর বিদায় নেন। নাহিদুল ইসলাম ও ওয়াহাব রিয়াজ। নাদিুলের ৭ ও রিয়াজ ১০ রান করেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে খুলনার দলটি ৮ উইকেটে গুটিয়ে যায় ১১৩ রানে।

বল হাতে ঢাকার হয়ে সফল হন পেসার আল আমিন। ৪ ওভারে ২৮ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া নাসির হোসেন ও আরাফাত সানী নেন দুটি করে উইকেট।

সহজ জয়ের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে ওপেনার আহমেদ শেহজাদকে হারায় ঢাকা। মাত্র ৪ রান করে হাতে চোট নিয়ে আউট না হয়েই মাঠ ছাড়ে পাকিস্তানের এই ব্যাটার। সতীর্থকে হারিয়ে সৌম্যকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন দিলশান।

সৌম্য ১৬ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের বলে আজম খানের হাতে ক্যাচ দেন। তবে তার আগে এক বিতর্কিত আউট থেকে বেঁচে যায় সৌম্য। নাসুলের বলে আম্পয়ার এলিবিডাব্লিউর আউট দিয়েও তা ফিরিয়ে নেন।

দলীয় ৬৬ রানের মাথায় ওপেনার দিলশানকে হারায় ঢাকা। লঙ্কান এই ওপেনার ২২ রান করে সাইফউদ্দিনের বলে এলিবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন। এরপর মিঠুন ৮ রানে ফিরে গেলে ঢাকার ক্যাপ্টেন নাসির হোসেন ও উসমান গুনি দলকে জয়ে পথে এগিয়ে নেন।

কিন্তু উসমান নিজেকে খুব বেশি এগিয়ে নিতে পারেনি। জয় থেকে দল যখন ১৪ রান দুরে। ঠিক তখন দলীয় ১০০ রানের মাথায় সাইফউদ্দিনের বলে ব্যক্তিগত ১৪ রান করে বিদায় নেন এই আফগান। শেষ মুহুর্তে দলের জয়ে নাসিরকে সঙ্গ দেন আরিফুল হক।

সতীর্থকে সাথে নিয়ে জাতীয় দলের এক সময়ের ফিনিশার খ্যাত নাসির দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ৫ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে ১১৭ রান তোলে তারা। নাসির অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে আর আরিফুল হক ৩ রানে। খুলনার হয়ে পেসার সাইফউদ্দিন নেন দুটি উইকেট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ