মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হিজাব বিরোধী আন্দোলনে এবার দুই কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দিল ইরান। নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছিল দুই কিশোর। তবে আবেদন খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা’ ও ‘পৃথিবীর বুকে দুর্নীতি’- এই দুই অপরাধে তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। যদি এই আদেশ কার্যকর হয়, তাহলে হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে দুই কিশোরকে। প্রসঙ্গত, আন্দোলনে অংশগ্রহণের শাস্তি হিসাবে একাধিক প্রতিবাদীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে ইরানের প্রশাসন। বেশ কয়েকজনের আদেশ কার্যকরও হয়ে গিয়েছে।
১৮ বছর বয়সি মেহদি মহম্মদিফার্দ ও ১৯ বছরের কিশোর মহম্মদ বরোউনি- দু’জনেই হিজাব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল। পানির বোতলে পেট্রল ভরে ক্ষতিকারক মলোটোভ ককটেল বানাচ্ছিল দুই কিশোর, এই অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও এই হাতবোমার ব্যবহার হয়েছে। ইরানের আইন বিভাগের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে মেহদি। সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে বয়সের কারণে তার সামনে এখনও দেশের উচ্চ আদালতে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
তবে প্রাণভিক্ষার আর্জির সুযোগ নেই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়া আরেক কিশোর মহম্মদের। অ্যামনেস্টি ইন্ট্যারন্যাশনালের তরফে তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষও একই দাবিতে আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্ত নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়। খুব তাড়াতাড়িই মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়া হবে মহম্মদকে, এমনটাই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৩ বছর বয়সি দুই তরুণকে ফাঁসি দিয়েছে ইরানের প্রশাসন। হিজাব বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়ার ‘অপরাধে’ ৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই হিজাব বিতর্কে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে গোটা ইরান। হিজাব না পরার কারণে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় তরুণী মাহসা আমিনির। তারপর থেকেই হিজাব বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নামেন ইরানের সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদে সরব হন সেদেশের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরাও। কিন্তু প্রতিবাদীদের থামাতে কঠোর দমননীতি গ্রহণ করে খোমেইনির প্রশাসন। শুধুমাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে একাধিক প্রতিবাদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।