Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দেশে ১৫ বছর ধরে অলিখিত বাকশাল চলছে : মঈন খান

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:২০ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭২-৭৫ এ যা করেছিল, আজকে যেটা করেছে তার চেয়ে বেশি খারাপ। তখন লিখিত বাকশাল ছিল, সংসদের ভেতরে ১১ মিনিটের ব্যবধানে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে আমারা দেখেছি, গণতন্ত্রকে হত্যা করে সৈনিকরা, সামরিক সরকাররা। আর বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল একটা রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। বিগত ১৫ বছর ধরে অলিখিত বাকশাল চলছে। আমি বলবো লিখিত বাকশালের চেয়েও এটা খারাপ।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে মানিকগঞ্জের মুন্নু সিটিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘১০ দফা এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ বিষয়ক বিশ্লেষণমূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান বলেন, বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। বিএনপি গণতন্ত্রকে রক্ষা ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছে। আজ আওয়ামী লীগের শাসন আমলে দেশে ন্যায়বিচার নাই। ন্যায়-নীতিকে নির্বাসন দিয়েছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। দেশের মানুষকে এ জুলুম-নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে একটি নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের সৎ সাহস হারিয়ে ফেলেছে। তারা জনগণকে ভয় পায়। তারা মুখে বলে দেশের উন্নয়ন করেছে। তাহলে তো একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলে জনগণ পাগল হয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে। তারা জনগণকে ভয় পায়, গণতন্ত্রকে ভয় পায় বলেই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিচ্ছে না।

মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ বলে বেড়ায় তারা মুক্তিযোদ্ধের সপক্ষের সরকার। বিএনপিতে অনেক বীর উত্তম, বীর বিক্রম, বীর প্রতীক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তারা বলতে পারবে তাদের দলে কতজন রয়েছে? তারা বলতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের ভূমিকা ছিল একটি পলায়নকর রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের অধিকার নষ্ট করেছে। এ কারণে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন দেয় না। তারা ক্ষমতা ছেড়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেয় না।

জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক এস এ কবির জিন্নাহর পরিচালনায় ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ