Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ. চীন সাগর নিয়ে বেইজিং ম্যানিলার বিরোধ নিরসন

চীনের সঙ্গে ফিলিপাইনের ১৪টি চুক্তি, খুলে দেয়া হচ্ছে হংকং সীমান্ত

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০২ এএম

দক্ষিণ চীন সাগরের বিবাদ মেটানোসহ চীনের সঙ্গে ফিলিপাইনের ১৪টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের তিন দিনের বেইজিং সফরে এই সব চুক্তি স্বাক্ষর হয়। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। বৃহস্পতিবার সকালে দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু তাদের সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি নয়। তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব মত পার্থক্য নিরসন করেছে। ম্যানিলা এর আগেও জানিয়েছিল, সামুদ্রিক ইস্যু চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে সংজ্ঞায়িত করে না। বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, উভয়পক্ষ এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশ ব্যবহারের স্বাধীনতাকে পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং জাতিসংঘের সনদ ও ১৯৮২ সালের সমুদ্র আইন সংক্রান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। উভয়পক্ষ পারস্পারিক আস্থা তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু অংশ চীন, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি রাষ্ট্র দাবি করে। ম্যানিলা সফরের আগে মার্কোস বলেছিলেন, আলোচনার টেবিলে এই ‘কাঁটাযুক্ত বিষয়’ থাকবে এবং এর গুরুত্ব তিনি স্বীকার করেন। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের চীন-ফিলিপাইন যৌথ নীতিগুলো পুনঃনিশ্চিত করা হয়েছে। সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখ-তার প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করাসহ কূটনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাবে। ফিলিপাইনও এক-চীন নীতির প্রতি সমর্থন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। মার্কোস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ‘আগামীতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য করণীয়, সম্ভাব্য ভুল ও যেসব বিষয়ে ভুল বোঝাবুঝি আছে সেগুলো যেন বড় সমস্যা তৈরি করতে না পারে’ সে বিষয়ে আলাপ হয়েছে। শি ফিলিপাইনের জেলেদের সুর্নিদিষ্ট অঞ্চলে মাছ ধরার অনুমতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যৌথ বিবৃতিতে, তারা একে অপরকে ‘ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী, আত্মীয় ও অংশীদার’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। শি ফিলিপাইনে চীনা বিনিয়োগকে সমর্থন করা থেকে শুরু করে প্রতিবেশীকে গ্রাম ও কৃষি প্রযুক্তি, মৌলিক শিক্ষা, আবহাওয়া ও মহাকাশের পাশাপাশি ভ্যাকসিন উন্নয়নে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এদিকে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষি, অবকাঠামো, উন্নয়ন সহযোগিতা, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও পর্যটনসহ মোট ১৪টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, হংকং-এর সঙ্গে সীমান্ত খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। তিন বছর ধরে মহামারির কারণে এই সীমান্ত বন্ধ ছিল। তবে রোববার চীনের মূল ভূখ-ের সঙ্গে আবারও যুক্ত হতে যাচ্ছে হংকং। এরফলে এখন থেকে বাধাহীনভাবেই হংকং-এর বাসিন্দারা চীনে প্রবেশ করতে পারবেন। তাদের কোনো কোভিড পরীক্ষা বা কোয়ারেন্টিনের ঝামেলা পোহাতে হবে না। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা। খবরে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দিয়েছে চীনের ‘হংকং ও ম্যাকাও দপ্তর’। এক বিবৃতিতে এই কড়াকড়ি তুলে নেয়ার কথা জানিয়েছে দপ্তরটি। তবে বলা হয়েছে, এখনও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড নেগেটিভ পরীক্ষার সনদ প্রদর্শণ করে চীনে প্রবেশ করতে হবে হংকং-এর বাসিন্দাদের। পাশাপাশি চীন থেকে হংকং-এ যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনো বাধানিষেধ আর থাকছে না। মহামারির পূর্বে বছরে ২৪ কোটি বার আসা-যাওয়া হতো মূল ভূখ-ের সঙ্গে। সেই সংখ্যা একেবারে কমে এসেছিল গত তিন বছরে। তবে এখন আবার আগের মতো যোগাযোগ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া আগামী ৮ই জানুয়ারি আন্তর্জাতিক সীমান্তও খুলে দেবে বেইজিং। বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন ছাড়াই চীনে যেতে পারবেন বিদেশিরা। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ