Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিলকিসের মামলা থেকে সরে গেল বিতর্কিত বিচারপতি

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০২ এএম

২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানু দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। তার ধর্ষকদের মুক্তি বিরোধী মামলায় অন্যতম বিচারপতি ছিলেন বেলা এম ত্রিবেদী। ‘স্বার্থসংঘাতে’র যুক্তিতে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। ফলে বুধবার হল না বিলকিস বানু ধর্ষণ কা-ের দোষীদের জামিন পাওয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানি। জানা গিয়েছে, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী সরে যাওয়ায় নতুন বেঞ্চে উঠবে মামলা। ফলে আপাতত মুলতবি হয়ে গেল মামলা। গত স্বাধীনতা দিবসে সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামিকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার। দেশজুড়ে ওঠে সমালোচনার ঝড়। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সিপিএম নেত্রী সুহাসিনী আলি, সাংবাদিক রেবতী লউল, লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য রূপরেখা বর্মা-সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকরা সুপ্রিম কোর্টে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। যা আসে বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে। উল্লেখ্য, ২০০৪-২০০৬ সাল পর্যন্ত গুজরাট সরকারের আইনসচিব ছিলেন বেলা এম ত্রিবেদী। সেই কারণেই মামলার নিরপেক্ষতার স্বার্থে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। এদিন অপর বিচারপতি রাস্তোগি জানান, যেহেতু বিলকিস নিজে গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন, তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হবে। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের সাজা মওকুফ করার নিয়মের আওতায় ধর্ষকদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। চলতি বছরের মে মাসের সেই সিদ্ধান্তের জেরেই আগস্ট মাসে ১১ জন ধর্ষকদের মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে আবেদন করেন বিলকিস। বিলকিস দাবি করেছিলেন, ১১ জন ধর্ষককে ছেড়ে দেয়ার খবরে তিনি হতবাক। পিটিশনে বলা হয়েছিল, গোটা দেশ যখন স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছে, তখন সব অপরাধীদের আগাম মুক্তি দেয়া হয়। প্রকাশ্যে তাদের সংবর্ধনা জানিয়ে মালা পরানো হয়। মিষ্টি বিতরণ করা হয়। তাতেই বিলকিস তথা দেশ ও দুনিয়া জানতে পারে যে জঘন্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের আগাম মুক্তি দেয়া হয়েছে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে এই মামলার শুনানির আবেদন করেন বিলকিসের আইনজীবী। টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ