Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কার্বনশূন্য গণপরিবহণে ঝুঁকছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০২ এএম

গণপরিবহন খাত কার্বনশূন্য করার প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে তিন বছরের মধ্যে গণপরিবহনের সব বাস বিদ্যুচ্চালিত যানে (ইভি) রূপান্তরের লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। একই ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামও। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব খুব গভীরভাবে অনুভব করা যাচ্ছে। অস্বাভাবিক আবহাওয়ার জন্য বন্যা ও খরার মতো ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। তাই গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশগুলো। ব্যাংকক ম্যাস ট্রানজিট অথরিটি পরিকল্পনা করছে যেসব বাস জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে, সেগুলো সরিয়ে দেয়া হবে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩ হাজার ২০০টি বাসের সবই ইভিতে পরিবর্তন করবে কর্তৃপক্ষ।আবার জাকার্তার ট্রান্সজাকার্তা পাবলিক বাস সিস্টেম ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এক হাজার বিদ্যুচ্চালিত বাস যুক্ত করবে। পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৫ সাল নাগাদ সংখ্যাটা তিন হাজারে উন্নীত করার। সারা বিশ্বে পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধির মধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো কার্বনশূন্য হওয়ার জন্য চাপ অনুভব করছে এবং সেই কারণেই গণপরিবহন খাতে ইভির ব্যবহার বাড়াতে বেশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। আবার কেউ কেউ ধারণা করছেন পরিবেশগত ব্যবসাও নতুন অর্থনৈতিক চালক হতে পারে। এভাবেই বিদ্যুচ্চালিত যানবাহন প্রস্তুতকারকদের প্রলুব্ধ করার প্রতিযোগিতা চলছে, যা মূলত জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও আরো কিছু দেশকেন্দ্রিক। থাই সরকারও ২০৩০ সালের মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়িতে বিদ্যুচ্চালিত যানবাহনের অংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুচ্চালিত যানবাহন প্রস্তুতকারকদের করছাড় দেয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়াও ইভি সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠানকে কর অব্যাহতির সুযোগ দিচ্ছে। ভিয়েতনামেও একটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিদ্যুচ্চালিত বাস উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় কনগ্লোমারেট ভিনফাস্ট আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার পেয়েছে এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও অন্যদের কাছ থেকে। ভিনফাস্টের পরিকল্পনা এসব অর্থ বিদ্যুচ্চালিত বাস ও চার্জের যন্ত্রপাতি উৎপাদনে ব্যয় করার। তবে অন্যান্য যানের তুলনায় পাবলিক বাস বিদ্যুচ্চালিত করার ঝামেলা কম। কারণ বাস একটি নির্দিষ্ট পথে যাতায়াত করে। তাই কখন চার্জ করা দরকার তা অনুমান করা যায়। এতে চার্জিং স্টেশনও দরকার পড়ে কম। ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ