Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

উইলিয়াম তাকে মারধর করেছিলেন, নতুন বইয়ে বোমা ফাটালেন প্রিন্স হ্যারি

আত্মজীবনীতে প্রিন্স হ্যারি অভিনেত্রী মেগান মের্কেলকে বিয়ে করায় দুই ভাইয়ের সম্পর্ক ভেঙে যায় বলেও লিখেছেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:২৪ পিএম

প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্পেয়ার’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। এই বইয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে আসা প্রিন্স হ্যারি তার ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের বিরুদ্ধে হাতাহাতির অভিযোগ করেছেন তিনি। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এই বইয়ের একটি কপি হাতে পেয়েছে। বইটিতে মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মের্কেলকে বিয়ে করা নিয়ে প্রিন্স উইলিয়ামের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন হ্যারি। -বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান

বইটিতে প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, প্রিন্স উইলিয়াম আমার কলার চেপে ধরে গলার চেইন ছিঁড়ে ফেলেছিলেন এবং আমাকে মেঝেতে ফেলে দিয়েছিলেন। আত্মজীবনীতে প্রিন্স হ্যারি অভিনেত্রী মেগান মের্কেলকে বিয়ে করায় দুই ভাইয়ের সম্পর্ক ভেঙে যায় বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে কেনসিংটন প্যালেস বলেছে, এই মুহূর্তে এটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করার নেই। এদিকে, আইটিভির টম ব্র্যাডবির সাথে প্রিন্স হ্যারির সাক্ষাৎকারের একটি নতুন ক্লিপ প্রকাশিত হয়েছে। রাজপরিবারের সাথে চলমান বিবাদ প্রসঙ্গে ডিউক বলেছেন, বল এখন তাদের কোর্টে রয়েছে। তিনি মে মাসে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও রাজি ছিলেন না।

তবে বিবিসি বলছে, হ্যারির স্মৃতিকথামূলক বইটি আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, কঠোর প্রাক-প্রকাশনা নিরাপত্তা পেরিয়ে তাদের হাতে এই বইয়ের একটি অনুলিপি পৌঁছেছে। গার্ডিয়ানের মতে বইটিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে লন্ডনের বাড়িতে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মের্কেলকে নিয়ে প্রিন্স উইলিয়ামের করা মন্তব্যের জেরে তাদের মাঝে বিবাদের সূত্রপাত হয়। ব্রিটিশ এই দৈনিক বলেছে, প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, তার ভাই প্রিন্স উইলিয়াম মেগান মের্কেলের সাথে তার বিয়ের ঘোর বিরোধী ছিলেন। প্রিন্স উইলিয়াম মেগানকে ‘বাজে’, ‘অভদ্র’ এবং ‘বেপরোয়া’ স্বভাবের বলে মন্তব্য করেছিলেন। ডিউক অব সাসেক্স লিখেছেন, তার ভাই তোতা পাখির মতো বারবার এসব মন্তব্য করেছিলেন; যা উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে।

বইটিতে প্রিন্স হ্যারি তার ভাইয়ের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শারীরিক সংঘাতে রূপ নেয় বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রিন্স উইলিয়াম তার হাতে থাকা পানির গ্লাস রেখে আমাকে অন্য একটি নাম ধরে ডাকলেন। তারপর আমার দিকে এলেন। সবকিছু দ্রুত ঘটেছিল। অত্যন্ত দ্রুত।’ ‘তিনি আমার কলার ধরে ফেললেন, আমার গলার চেইনটি ছিঁড়লেন এবং আমাকে ধাক্কা মেরে মেঝেতে ফেলে দিলেন।’ ‘আমি কুকুরের খাবারের বাটিতে পড়ে গেলাম। বাটিটি আমার পিঠের নিচে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। এতে আমার শরীর কেটে গেল। আমি কিছুক্ষণ সেখানে অবাক-বিস্ময়ে পড়ে থাকলাম। এই ঘটনায় হতবাক হয়ে গেলাম। তারপর দাঁড়িয়ে আমি তাকে তাকে বের হয়ে যেতে বললাম।’ গার্ডিয়ানের মার্কিন ওয়েবসাইটের সাংবাদিক মার্টিন পেঙ্গেলি প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী নিয়ে সংবাদ লিখেছেন।

তবে বইটি নিয়ে তিনি প্রিন্স উইলিয়ামের কমিউনিকেশন দলের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন। এই সাংবাদিক বলেছেন, ‘তার নিবন্ধটি হ্যারির বইয়ের একটি প্রতিবেদন; যা তিনি লিখেছেন। বইটি হ্যারির স্বীকারোক্তি।’ বিবিসি রেডিও ৫ লাইভকে পেঙ্গেলি বলেছেন, আমরা প্রতিবেদন তৈরির সময় সাবধানতা অবলম্বন করেছি। প্রতিবেদনে আমরা পরিষ্কারভাবেই ব্রিটিশ রাজপরিবারের দুই ভাইয়ের বিবাদকে ‘লড়াই’ বলিনি। কারণ হ্যারি বলেছেন, তিনি লড়াই করেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ