Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অর্থ পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়নের জন্য এফএটিএফের গ্রেলিস্টে নাম উঠতে পারে নেপালের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:৫৬ এএম
ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) ‘গ্রেলিস্টে’ বা ধূসর তালিকায় নাম উঠতে পারে নেপালের। কাঠমান্ডু পোস্টে পৃথ্বী মান শ্রেষ্ঠা লিখেছেন, অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই এফএটিএফের গ্রেলিস্টের ঝুঁকিতে রয়েছে নেপাল।
নেপাল অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নবিরোধী প্যারিসভিত্তিক নিয়ন্ত্রক সংস্থার মান মেনে চলার জন্য বেশ কয়েকটি ঘাটতি পূরণ করতে সংগ্রাম করছে এবং অন্তত ১৫টি দুর্বল আইন চিহ্নিত করেছে।
গ্রে লিস্টে থাকা মানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহলিব, বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে ঋণ বা সহায়তা পাওয়া যাবে না সহজে।
গ্রেলিস্টিং নেপালের সংগ্রামী অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে যা বিদেশি সাহায্য, রেমিটেন্স এবং আমদানির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। ধূসর তালিকায় থাকা একটি দেশ সম্ভাব্য বাণিজ্য সুযোগের অভাব, রেটিং হ্রাস এবং পরবর্তীতে অর্থনীতি সঙ্কুচিত হওয়ার মতো সমস্যার মুখোমুখী হতে পারে।
শ্রেষ্ঠা প্রতিবেদন করেছেন, এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি), এফএটিএফ একটি  ধরনের আঞ্চলিক অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং সংস্থার একটি প্রতিনিধিদল সম্প্রতি অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে দেশের প্রতিক্রিয়া মূল্যায়ন করতে দুই সপ্তাহের জন্য নেপাল সফর করেছে।
কর্মকর্তারা বলেছেন, যে এপিজি শুধুমাত্র ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা অগ্রগতিগুলো তার পারস্পরিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করবে। যা নেপালকে আবার একটি দুর্বল অবস্থানে রাখছে এবং কালো তালিকাভুক্ত না হলে ধূসর তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য দায়ী। বর্তমানে উত্তর কোরিয়া, ইরান ও মিয়ানমার এফএটিএফের কালো তালিকায় রয়েছে।
'গ্রেলিস্ট’ অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে কোনো দেশ বা গোষ্ঠীর শাসনামলে ‘কৌশলগত ঘাটতি’ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একবার এফএটিএফ দ্বারা ‘জুরিসডিকশন আন্ডার ইনক্রিজড মনিটরিং’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হলে তাদের অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। গ্রেলিস্টে থাকা একটি দেশ নিষেধাজ্ঞার অধীন নয়। যাইহোক, ধূসর তালিকাটি আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে সংকেত দেয় যে উল্লিখিত দেশের সঙ্গে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে লেনদেনের ঝুঁকি বাড়তে পারে। 
গ্রেলিস্টিং কীভাবে অর্থনীতিতে আঘাত করে তার একটি উদাহরণ পাকিস্তান। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক তাবাদলাব প্রাইভেট লিমিটেড এবং একটি উপদেষ্টা পরিষেবা সংস্থা ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে বলেছে, যে ২০০৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান এফএটিএফের গ্রেলিস্টে ছিল। এর ফলে পাকিস্তানের ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের জিডিপি ক্ষতি হতে পারে।
নেপাল ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এফএটিএফের গ্রেলিস্টে ছিল। অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং শাসনের ধারাবাহিক অগ্রগতির পরে (যার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ২০০৮-এর একটি সংশোধনী, এবং অন্যান্য আইন প্রণয়ন) এফএটিএফ অবশেষে ২০১৪ সালে নেপালকে তালিকা থেকে বাদ দেয়। সূত্র : দ্য স্টেটসম্যান।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ