পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিডিয়ার কারণেই নিজেদের এ দেশের রাজ মনে করেন বিদেশিরা।
গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার কারণে, তার সাহস এবং ভিশনের কারণে সর্বক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো থেকে অনেক অনেক ভালো অবস্থানে এসেছি আমরা। বাংলাদেশ এখন দরিদ্র দেশ না। যেহেতু আমরা প্রতিবেশি দেশ থেকে অনেক ভালো করছি, এ জন্য অনেকে আকর্ষণবোধ করছেন। অনেকে অনেকভাবে ফায়দাও লুটতে চাচ্ছেন। বিশ্বের যেসব দেশে শান্তি ও স্থিতিশলীতা আছে সেসব দেশেই উন্নতি ঘটে। বাংলাদেশেও তা ঘটছে। যেসব দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নেই, সেগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। সিলেটের সদর ও জকিগঞ্জ উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন এবং কার্যক্রম জোরদারকরণ সংক্রান্ত মতিবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কিছু লোক চায় না দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করুক। কারণ-দেশ অশান্ত থাকলে ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিল হয় তাদের। দুঃখনজনকভাবে-বিরোধীদলীয় অনেক নেতা আছেন, যারা চান না আমাদের দেশ উন্নত হোক। তারা তাদের ব্যক্তিস্বার্থেও জন্য দুশ্চিন্তায় থাকেন। এজন্য বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে লোকজনকে উস্কিয়ে দেন তারা। দেশ অশান্ত হলে তারাও কিন্তু শান্তিতে থাকবেন না। বিশ্বের যেসকল দেশে যে পক্ষ অশান্তি সৃষ্টি করেছে তারাও কিন্তু শান্তিতে নাই।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, খুব সীমিত জ্ঞান বিদেশিদের। সবচেয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন বাঙালিরা। অথচ বিদেশিরা যখন আমাদের কোনো পরামর্শ দেন তখন সেটি হাস্যকর। কারণ বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ, যে দেশের মানুষ মানবতা, গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের জন্য দিয়েছেন রক্ত। এ দেশের ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছেন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। দুনিয়ার আর কোথাও নেই এমন নজির। অথচ বিদেশিরা আসে আমাদের বুঝাতে। কিন্তু এ দেশের প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে ডেমোক্রেসি আছে। তাদের দেশে নির্বাচন হলে ২৫ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়, আর আমাদের দেশে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ ভোট দেন। অথচ বড় বড় কথা বলেন তারা। তারা নিজের দিকে তাকায় না। তারা তাদের নির্বাচনের সময় প্রার্থী পায় না। আর আমাদের মিডিয়াগুলো বিদেশিদের কথায় হৈ-চৈ করেন। তাদের নিউজ কাভার করা বন্ধ করেন, তাদের পাত্তা দিবেন না। আমাদের মিডিয়া যদি ওদের কাভার করা বন্ধ করে তখন ঘরে বসে তারা খালি হুক্কা খাবে। মিডিয়ার কারণেই বিদেশিরা নিজেদের এ দেশের রাজা মনে করে। মন্ত্রী বলেন, তারা কারো স্বার্থে তথ্য সংগ্রহ করলেও মাথাব্যথার কিছু নেই। আমরা আমাদের দেশে লুকিয়ে কিছু করি না। আমরা ভেরি ফেয়ার, ওপেন। আমাদের দেশে ৪৫টি প্রাইভেট টেলিভিশন রয়েছে, প্রতিদিন সাড়ে ১২ হাজার সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। এছাড়াও প্রতি মাসে ১৮০০ সাময়িকী বের হয়। এমন নজির আর কোথাও আছে বিশ্বের?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।