Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রফতানিতে তুরস্কের রেকর্ড

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

২০২২ সালে রফতানিতে রেকর্ড গড়েছে তুরস্ক। ডলারের বিপরীতে লিরার মূল্য কমায় রফতানিযোগ্য পণ্যের বাজার চাঙ্গা হয়েছে। ২০২২ সালে তুরস্ক প্রায় ২৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। রফতানি আয়ের এ পরিমাণ ২০২১ সালের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। এক টেলিভিশন ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান এ তথ্য জানিয়েছেন। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের মুদ্রা লিরার মান কম থাকায় বৈশ্বিক বাজারে তুর্কি পণ্যের চাহিদা আরো বেড়েছে। একই সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক থেকেও উপকৃত হয়েছে তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, বিশ্ব যেখানে গুরুতর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে, সে সময় নিরবচ্ছিন্ন বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা, কর্মসংস্থান ও রফতানি বাড়ানো সহজ কাজ নয়। এ পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায় তুরস্ক এখন সংকটে বিপর্যস্ত কোনো দেশ নয়, বরং এমন একটি দেশ, যা সংকট মোকাবেলা করে চলতে সক্ষম। তুরস্কের রফতানি বাড়ার বিষয়টি এ মুহূর্তে এরদোগানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা চলতি বছরের জুনে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় তার দলের জনপ্রিয়তাকে ভূপাতিত করেছে। মূল্যস্ফীতি কয়েক মাস ধরে ৮০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। এরদোগানের অপ্রচলিত আর্থিক নীতি যার অন্যতম কারণ। প্রেসিডেন্ট আদেশের ক্ষমতাবলে তিনি তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেঞ্চমার্ক সুদের হার ৯ শতাংশ কমিয়েছেন। ফলে এক বছরে ডলারের বিপরীতে লিরার মূল্য প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। এদিকে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে, লিরার মান কম থাকায় গত বছরে তুরস্কের বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ১১ হাজার ২০ কোটি ডলার। কেননা এ সময়ে দেশটির আমদানি ব্যয় ৩৪ শতাংশ বেড়ে ৩৬ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার পৌঁছেছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে তুরস্ক একটি বড় চাপের মুখে পড়েছিল এবং ২০২২ সালে বাধ্য হয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আরো বেশি বাণিজ্য করেছে। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুধু ডিসেম্বরেই রাশিয়ায় তুরস্কের রফতানি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ১৩১ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল তুরস্ক। দেশটির যুক্তি ছিল, এতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে মধ্যস্থতা করার সুযোগ পাবে তুরস্ক। এরই অংশ হিসেবে রাশিয়ার বন্দর অবরোধ সত্ত্বেও ইউক্রেনকে শস্য রফতানি করার অনুমতি দেয়ার জন্য জুলাইয়ে এরদোগান একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিলেন। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ