Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

তুনিশার মৃত্যুর আগে সেদিন শুটিং সেটে যা ঘটেছিল

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০৩ পিএম

কলকাতার অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার মৃত্যু ঘটনায় জেলবন্দি তর প্রাক্তন প্রেমিক শীজান খান। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই তার পরিবার ও বন্ধুরা কাঠগড়ায় তোলে শীজানকে। সম্পর্ক ভাঙার ফলে মানসিক অবসাদ থেকেই চরম সিদ্ধান্ত নেন তুনিশা, দাবি তুলেছিল তারা। এমনকী তুনিশার মা বনিতা শর্মা অভিযোগ করেন, শ্যুটিং সেটেই ড্রাগ নিতেন শীজান। তারপর তার মেয়েকে মারধরও করতেন বলে অভিযোগ। শীজানের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নিয়ে এবার মুখ খুললেন তার বন্ধু শান শঙ্কর মিশ্র। পাশাপাশি, যেদিন এই দুর্ঘটনা ঘটে সেদিন সেটে কী ঘটেছিল তাও খোলসা করেন শীজানের বন্ধু।

তুনিশার আত্মহত্যার দিনে সেটেই ছিলেন শান শঙ্কর। তিনি দাবি করেন, আত্মহত্যার আগেও তুনিশা মেকআপ রুম থেকে বেশকয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেও তাঁকে খুশি খুশি দেখা গেছে। তখনও মনে হয়নি যে তুনিশা এমন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। তুনিশার মৃত্যুর পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বন্ধু।


শান শঙ্কর আরো জানান, শীজান অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার মানুষ। আমি কখনও ওকে কারওর ওপর রেগে যেতে দেখিনি। বরং তুনিশাকে সারা সেটে বাচ্চাদের মতো যত্ন নেওয়া হত। পাশাপাশি ড্রাগ নেওয়া নিয়ে শীজানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছিল তা মানতে চাননি শান। তিনি বলেন, ‘শীজান কখনই ড্রাগ নেয় না।’

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিক তথা সহ-অভিনেতা শীজানের সঙ্গে বিচ্ছেদের ১৫ দিন পর, সিরিয়ালের সেটে জীবন শেষ করে দিয়েছেন তুনিশা। যে ঘটনা বিনোদন দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলেছে। ‘আত্মহত্যা’ বলে মানতে পারছেন না তুনিশার মা বনিতা শর্মা। তার দাবি, শীজানই তুনিশার মৃত্যুর জন্য দায়ী। তার অভিযোগ, মাদক সেবন করতেন অভিনেতা। আরও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে থেকে তুনিশাকে ঠকিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, তুনিশাকে বিয়ের প্রস্তাবও নাকি দিয়েছিলেন শীজান। তুনিশার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ শীজানকে গ্রেফতার করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুনিশা শর্মার মৃত্যু
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ