Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ধর্মবিরোধী নয় সিপিএম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ভারতে ক্ষমতার শেষ দুর্গ বাঁচাতে একেবারে মরিয়া সিপিএম। আর সেই নিরিখে এবার কেরলে ধর্ম সম্পর্কে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি কিছুটা বদলাচ্ছে ভারতের কমিউনিস্টি পার্টি। কার্যত এবার ধর্ম নিয়ে সেই গোঁড়া অনীহার মনোভাব কিছুটা হলেও বদলাচ্ছে সিপিএম। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে কার্যত বাড়ি বাড়ি প্রচারে নামে কেরলের সিপিএম নেতৃত্ব। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা ধর্মীয় আচরণের বিরোধী নন। এমনকি নাস্তিকতার কোনো পলিসি তারা আরোপ করতে চান না। কার্যত ধর্ম নিয়ে ছুৎমার্গ পরিবর্তন করছেন বামেরা।

সূত্রের খবর, ২১ দিন ধরে সিপিএমের পলিট ব্যুরো সদস্যরা বাড়ি বাড়ি জনসংযোগে বের হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। পার্টির তরফে কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, কিছু শক্তি তাদের মধ্যে এ ইস্যুতে ফাটল ধরাচ্ছে।
এদিকে সবরীমালা-কাণ্ডকে মাথায় রেখেই পদক্ষেপ নিচ্ছে সিপিএম। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেই নিরিখেও অত্যন্ত সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে সিপিএম। পার্টির রাজ্য সম্পাদক এমভি গোবিন্দন জনসংযোগে বেরিয়ে জানিয়েছেন, আমাদের পার্টি ধর্ম বা বিশ্বাসের বিরোধী নয়। নাস্তিকতার কোনো পলিসি আমরা চাপিয়ে দিতে চাইছি না। সকলকে সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে চাইছে দল ও সরকার। কিন্তু কিছু শক্তি প্রচার করার চেষ্টা করছে যে, আমরা নাস্তিকতা চাপিয়ে দিতে চাইছি। এটা সম্পূর্ণ ভুল। এর সঙ্গেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে সিপিএমের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ২০২৪ সালে ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারত কিন্তু যে কোনো সময় হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে যেতে পারে।

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জানিয়েছেন, সংঘ পরিবার একের পর এক পলিসি আরোপ করছে। ২০২৫ সালে আরএসএস তাদের শততমবর্ষ উদযাপন করবে। আর তখন হিন্দু রাষ্ট্র করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এদিকে কেরলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়- মুসলিম, খ্রিষ্টানদের সংখ্যা প্রায় ৪৫ শতাংশ।
উত্তর কেরলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকার ব্যবস্থার মাধ্যমে সংঘ পরিবার তাদের আদর্শগুলোকে প্রচার করার চেষ্টা করছে। কেরল হচ্ছে তার ব্যতিক্রম। কারণ এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা রয়েছে।

সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট হওয়া দরকার বলেও মুখ্যমন্ত্রী মতামত দিয়েছেন। এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০১৯ সালে পাঁচটি সংসদ আসনে অপেক্ষাকৃত ভালো ফল করেছিল বিজেপি। এরপর আর কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না সিপিআইএম। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক তথা লেখক উমেশ বাবু জানিয়েছেন, কীভাবে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু তাস খেলতে হয় সেটা ভালোই জানে দল। দিল্লিতে মোদি যা করছেন কেরলে বিজয়ন ঠিক তাই করছেন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ