Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উগ্রপন্থী ইসরাইলি মন্ত্রীর প্রবেশ, সংঘাতের শঙ্কা

আল-আকসার ইমামকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইসরাইল

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

পবিত্র আল-আকসা মসজিদের ইমাম শেখ একরিমা সাবরিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের গোয়েন্দারা। সোমবার এমন তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু। ইমাম শেখ একরিমা সাবরির পরিবারের এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে আনাদোলুকে বলেছেন, ‘পূর্ব জেরুজালেমের আল-সুহানেহতে অবস্থিত ইমামের বাড়িতে হানা দেয় ইসরাইলি সেনারা। তাকে কোনো কারণ না দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।’ আল-আকসার ইমামকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। ইমাম শেখ একরিমা সাবরি ইসরাইলের একজন কট্টর সমালোচক। অবৈধ ইসরাইলি দখলদারদের সমালোচনা করে প্রায়ই বিভিন্ন বক্তব্য দেন তিনি। এ কারণে আগেও একাধিকবার আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ইমাম সাবরি এর আগে ১৯৯৪ সাল থেকে শুরু করে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জেরুজালেম এবং ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোর মুফতির দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে আল-আকসা মসজিদটি মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে এই স্থানটিকে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা ‘টেম্পল মাউন্ট’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে। তাদের দাবি, প্রাচীন যুগে এখানে দুটি ইহুদি ধর্মীয় উপাসনালয় ছিল। অপর এক কবরে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের উগ্রপন্থী জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার-বেন-গিভির পবিত্র আল-আকসা মসজিদের চত্বরে প্রবেশ করেছেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্স মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ব্যাপক নিরাপত্তা নিয়ে ইতামার-বেন-গিভির মঙ্গলবার সকালে আল-আকসা চত্বরে আসেন। তার এ সফরকে উসকানিমূলক অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ‘এ উসকানির ফলাফল খারাপ হতে পারে।’ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হুমকি দিয়েছিল, ইতামার-বেন-গিভির আল-আকসায় আসলে এটি ‘সীমা লঙ্ঘন’ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে বেন-গিভিরের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘হামাসের হুমকির কাছে আমাদের সরকার মাথা নত করবে না।’ ইসরাইলের বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ স্বয়ং সতর্কতা দিয়েছিলেন, বেন-গিভিরের কর্মকাণ্ড উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে। পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনার পর আল-আকসা মসজিদকে ইসলামের তৃতীয় সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, আল-আকসায় শুধুমাত্র মুসলিমরা ইবাদত করতে পারবেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে জোর করে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উপাসনা করার সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে অবৈধ ইসরাইলি দখলদাররা। এছাড়া আল-আকসার পাশে নিজেদের উপাসনালয়ও বানাতে চায় তারা। ফিলিস্তিনিদের ভয়, এর মাধ্যমে তাদের সঙ্গে হওয়া চুক্তি লঙ্ঘন করতে চাইছে ইসরাইলিরা। উগ্রপন্থী বেন-গিভির আল-আকসা চত্বরে উপাসনা করেছেন কিনা এটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইহুদিবাদীদের দাবি, প্রাচীন আমলে আল-আকসা প্রাঙ্গনে তাদের দুটি উপাসনালয় ছিল। বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরাইলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু ইতামার-বেন-গিভিরকে আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার কথা শোনেননি মাত্র ৭ দিন আগে মন্ত্রিত্ব পাওয়া বেন-গিভির। আনাদোলু, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ