Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গায়ের জোরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বদল আনতে চাইছে চীন, দাবি ভারতের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:২০ পিএম

একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পরিবর্তন করতে চাইছে চীন, এমনটাই অভিযোগ তুললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ, লিখিত ভাবে দুই দেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিলেও তা পালন করছে না চীন। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এই কথা বলেছেন, দাবি জয়শংকরের। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চীনের সেনা। প্রাণহানি না হলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।

অস্ট্রিয়া সফরে গিয়ে একটি সাক্ষাৎকারে জয়শংকর বলেছেন, “এক তরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় কোনও ধরনের পরিবর্তন করা হবে না, এই মর্মে একমত হয়েছিল দুই দেশ। তা সত্বেও গায়ের জোরে নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করছে ওরা। ভারতের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকেই এই কথা বলা যায়। দেশের জন্য অন্যতম চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) সমস্যা। সীমান্তে সেনা মোতায়েন করতে চায়নি দুই দেশই। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে চীন, যার জেরে সীমান্ত পরিস্থিতিতে উত্তেজনা বাড়ছে।”

জয়শংকরকে প্রশ্ন করা হয়, সীমান্ত এলাকায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে এর সমস্যা হচ্ছে কেন? পররাষ্ট্রন্ত্রীর সাফ জবাব, উপগ্রহচিত্র দেখলেই প্রমাণ পাওয়া যাবে কারা শান্তিভঙ্গ করছে। জয়শংকরের মতে, “পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে আমার ব্যক্তিগত মতামত দিতে পারব না। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, লিখিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা মানা হয়নি। সামরিকভাবে চাপ তৈরি করা হয়েছে। চীনের তরফে হয়তো বলা হবে, ভারত নিয়ন্ত্রণরেখার নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়, উপগ্রহচিত্র দেখলেও স্পষ্ট হয়ে যাবে কারা সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছে।”

ওই সাক্ষাৎকারেই পাকিস্তানেরও সমালোচনা করেছেন জয়শংকর। তার মতে, ‘জঙ্গিরা প্রকাশ্য দিবালোকে পাকিস্তানের রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। তাদের লোকবল ও অর্থবল যোগান হচ্ছে। সামরিক কায়্দায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান তো সার্বভৌম রাষ্ট্র। তাদের ভূখণ্ড জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে, সেই বিষয়টি অবশ্যই পাক প্রশাসনের জানা রয়েছে। পাকিস্তানকে যদি সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর বলে থাকি, তাহলে সেটা খুবই নরম ভাষা প্রয়োগ করেছি।’ সূত্র: টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ