নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হঠাৎ দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন রাসেল ডমিঙ্গো। নির্ধারিত সময়ের আগেই তার চলে যাওয়ায় এখন নতুন বছরের শুরুতেই নতুন কোচ নিয়োগ দিতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। অথচ চলতি বছরেই ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। যে ফরম্যাটে বাংলাদেশ বরাবরই একটু বেশি সম্ভাবনাময়। এবার এশিয়ায় হওয়ায় সেই স্বপ্নের পরিধিও বেড়ে যেতে পারে অনেকখানি। ওয়ানডে বিশ^কাপে নিজেদে সেরা সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনাল ছাড়িয়ে সেমিতে খেলার মিশনও নিতে পারতো বিসিবি। তবে অসময়ে সঙ্গ থেকে সব ভেস্তে দিলেন ডমিঙ্গো। হন্যে হয়ে তাই নতুন কোচ খুঁজছে বিসিবি, তিনজনের শর্ট লিস্টও হাতে আছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটির। হয়তো এদের মধ্য থেকে কেউ হবেন সাকিব-লিটনদে ভবিষ্যৎ কোচ। তবে এই সংক্ষিপ্ত সময়ের আগে কোচের পরিবর্তনে বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। মাঠে মূল কাজটা খেলোয়াড়দেরই করতে হবে বলে জানান এ অলরাউন্ডার।
বিশ্বকাপ ওয়ানডে সংস্করণে, তারপরও খেলা যেহেতু সাদা বলে, প্রস্তুতির শুরুটা তাই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকেই শুরু করতে পারছে বাংলাদেশ। এই সুযোগটিই পুরোদমে নিতে চান মিরাজ। ফরচুন বরিশালের হয়ে অনুশীলনের ফাঁকেই এ অলরাউন্ডার জানালেন, ‘২০২৩ সালে অবশ্যই আমাদের বড় ইভেন্ট আছে। সেটা বিশ্বকাপ। অবশ্যই বিশ্বকাপকে ঘিরে আমাদের সব পরিকল্পনা করা হবে। আমি নিজেকে ওইভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুত করবো যে, কিভাবে আরও উন্নতি করা যায়। বিশ্বকাপ ভারতে হবে। তার আগে আমাদের অনেক ম্যাচ আছে, সিরিজ আছে। বিশ্বকাপটা বড় ইভেন্ট। সেজন্য ওইভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা যদি এখন থেকেই প্রস্তুতি নেই তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। যে ধারাবাহিকতা নিয়ে আমরা খেলে এসেছি সেটা যদি কন্টিনিউ করতে পারি তাহলে টিমের জন্য অবশ্যই ভালো হবে।’
তবে আলোচনাটা এখন কোচ নিয়েই। তবে প্রস্তুতিতে কোচের তেমন ভূমিকা দেখছেন না মিরাজ, ‘খেলোয়াড় হিসেবে সবাই কিন্তু নিজের প্রস্তুতি, নিজের সম্পর্কে জানে। আমি নিজেকে কীভাবে ইমপ্রুভ করবো কিংবা নিজের প্রস্তুতিটা কি। আলটিমেটলি খেলতে হবে কিন্তু খেলোয়াদেড়ই। এবং ভালো খেলতে হবে খেলোয়াড়দের। তাদের প্রস্তুতিটাই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের বেসিক এবং স্ট্রং যে জায়গাগুলো আছে সেগুলো আর স্ট্রং করতে হবে। আমাদের ল্যাকিংস যেগুলো আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবো এই ঘরোয়া প্রতিযোগিতার ভেতরে। এরপর নতুন যারা আসবে (কোচ) তারা তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সাজাবে। সেখানে আমরা আমাদের থিংকসগুলো (ভাবনা) দেবো কিভাবে খেলতে পছন্দ করি বা আমাদের কোন জায়গায় কি প্রবলেম। এটা একটা কম্বিনেশনের ব্যাপার।’
গুঞ্জন রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলে আবার ফিরতে যাচ্ছেন চন্ডিকা হাতুরুসিংহে। এই কোচের অধীনেই বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল মিরাজের। তাকে বেশ পছন্দও করেন লঙ্কান এই কোচ। তাই স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা প্রাধান্য পেতে পারেন এ অলরাউন্ডার। তবে এ সকল বিষয় নিয়ে ভাবছেন না মিরাজ, ‘ওর আন্ডারে আমার ডেব্যু হয়েছিল... এন্ড অব দ্য ডেতে আমাকে কিন্তু পারফর্ম করতে হবে। আমি যদি পারফর্ম করতে না পারি তাহলে কিন্তু খেলতে পারবো না যে কোচই আসুক না কেন। এখানে পারফর্ম করেই খেলতে হবে। পছন্দ করুক না করুক সেটা ব্যাপার না। কোচ খেলোয়াড়কে পছন্দ করে যখন কেউ পারফর্ম করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।