মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ওড়িশায় রায়গড়ায় কয়েক দিনের ব্যবধানে রহস্যমৃত্যু হয়ছে দুই রুশ নাগরিকের। ভারতে ঘুরতে এসে রায়গড়ার হোটেলে উঠেছিলেন তারা। এর মধ্যে পাভেল আন্থভ ছিলেন পুতিন বিরোধী রুশ রাজনীতিক। এরপরেই প্রশ্ন ওঠে, দুই রুশ নাগরিকের মৃত্যুর পিছনে পুতিনের হাত রয়েছে কিনা। এবার এই ঘটনায় তৎপর হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রায়গড়ের পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। আগামী ৪ সপ্তাহের এই রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে।
নিজের ৬৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ভারতে ঘুরতে এসেছিলেন পাভেল আন্থভ। সঙ্গে ছিলেন আরও ৩ জন। তারা ২১ ডিসেম্বর ওড়িশার রায়গড় জেলার একটি হোটেলে ওঠেন। ২২ ডিসেম্বর হোটেলের ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ভ্লাদিমির বিদেনভকে। হোটেল কর্মীরা রুশ পর্যটককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার মৃত্যু হয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিদেনভের মৃত্যু হয়েছে। তার ঘর থেকে প্রচুর পরিমাণে মদের বোতল উদ্ধার হয়েছিল। দু’দিন পর ২৪ ডিসেম্বর হোটেলের ৪ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় রুশ রাজনীতিক পাভেলের।
জানা গিয়েছে, মৃত পাভেল আন্তভ রাশিয়ার আইনসভার সদস্য। তিনি ঘোর পুতিন বিরোধী বলেও পরিচিত। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন পাভেল। ওড়িশার হোটেল দুই রুশ নাগরিকের পর পর মৃত্যুর পর রহস্য ঘনীভূত হয়। যদিও পুলিশের বক্তব্য, এর মধ্যে কোনও রহস্য নেই। দুই পর্যটকের মৃত্যুর ঘটনায় অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। যদিও এই বিষয়ে তৎপর হয়েছে মানবাধিকার কমিশন। ওড়াশার পুলিশের কাছে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দু’টি ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।
এর মধ্যেই ওড়িশায় আরও এক রুশ নাগরিকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা জানা গিয়েছে। গত শুক্রবার ভুবনেশ্বর রেল স্টেশনে শেষ বার দেখা গিয়েছিল। স্টেশনে ইউক্রেন যুদ্ধ বিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা গিয়েছিল তাকে। প্ল্যাকার্ডে সাহায্যের আবেদন জানান তিনি। যদিও শনিবার পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, ওই ব্যক্তি নিখোঁজ নন। ৬০ বছর বয়সি ওই রুশ নাগরিকের প্ল্যাকার্ডে লেখাছিল, ‘আমি রাশিয়ার এক শরণার্থী। আমি যুদ্ধ এবং পুতিনের বিরোধী। আমার ঘরবাড়ি নেই। দয়া করে সাহায্য করুন।’ সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।