পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছেন সরকারি চাকরিজীবী ফিরোজ আহমেদ। তবে ফিরোজ ছাত্রলীগ সমর্থক হলেও কোনো পদে ছিলেন না বলে দাবি পুলিশের। এ ঘটনায় সাকিব হোসেন (২২) নামে অপর এক যুবক আহত হয়েছে। ফিরোজের বাবার নাম টিপু সুলতান। মা-র নাম ফিরোজা বেগম। ৪ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ছিল। সমাজসেবা অধিদপ্তরের আজিমপুর অফিসে হিসাব সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন ফিরোজ । শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফিরোজকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোরে মৃত্যু হয়। পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
আহত সাকিব জানান, গত শনিবার রাতে নতুন বছর বরণ করার জন্য শেরেবাংলা নগর থানাধীন ২৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল অফিসের সামনে ছাত্রলীগের ছেলেরা জড়ো হয়। আগে থেকেই শেরেবাংলা নগর থানা ছাত্রলীগের থানা সভাপতি তালহা ও ওয়ার্ড সভাপতি মুরাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল। এসব দ্বন্দ্বের কারণে রাতে সেখানে একটি মারামারি হয়। ওই মারামারি সময় তালহাসহ তার লোকজন ফিরোজকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে হাসপাতালে ফিরোজের মৃত্যু হয়।
এদিকে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, এলাকার আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল ওয়ার্ড সভাপতি ও থানা সভাপতি ছাত্রলীগের মধ্যে। এ কারণে গত রাত একটি মারামারির ঘটনায় ফিরোজকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে করে। এতে তার মৃত্যু হয়। নিহত ফিরোজ ছাত্রলীগের কোনো পদে না থাকলেও ছাত্রলীগ সমর্থক ছিল। ছাত্রলীগ নেতা মুরাদেরর সঙ্গে তার চলাফেরা ছিল। তবে ফিরোজের সঙ্গে কারো কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে তিনি হত্যার শিকার হন। আসামি ধরতে একাধিক টিম কাজ করছে।
নিহতের চাচা আনোয়ার হোসেন জানান, ফিরোজ কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে খুবই ভালো ছাত্র ছিল। পরে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি পেয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই নুর আলম মিরাজ জানান, তারা আগারগাঁও তালতলা পানির টাংকির পাশে পিডব্লিউডি’র কোয়াটারে থাকেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগারগাঁও ২৮ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিসের সামনে থেকে বাসায় ফেরার সময় বিজ্ঞান জাদুঘরের বিপরীত পাশের রাস্তায় ছাত্রলীগ নেতা তালহা, নাসির, রাজু, মুহিদ, নয়ন, লিমন, যথি, রানা, রাব্বি, আল-আমিন, ওবায়দুল, সোহাগসহ ২০-২৫ জন মিলে ফিরোজকে ছুরিকঘাত ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
রোববার মর্গ থেকে একটি সূত্র জানান, লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বাম পায়ের উরুর পেছনে চারটি জখমের চিহ্ন দেখা গেছে। পরে নিয়ম অনুযায়ী স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।