মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন নেতৃত্বাধীন ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন এবং পারমাণবিক অস্ত্রাগার তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উন। বছরের শেষদিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরই এ কথা বলেন তিনি। উ. কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টির বৈঠকে নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থে সামরিক শক্তি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন কিম। গত সপ্তাহে উ.কোরিয়ার সীমান্তে দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোন প্রবেশ করে। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং সিউলের ড্রোন নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এর মধ্যেই সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ঘোষণা দিলেন কিম। উত্তরের শাসক অভিযোগ করে আরও বলেন, ওয়াশিংটন ও সিউল পিয়ংইয়ংকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন এবং দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে দ. কোরিয়ায় ধারাবাহিকভাবে মোতায়েন করা মার্কিন পরমাণু অস্ত্র ও সরঞ্জামকে ‘মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন’ বলেও অভিহিত করেন কিম। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশের পারমাণবিক শক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন আইসিবিএম তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্রের ‘প্রধান লক্ষ্য হবে দ্রুত পাল্টা পারমাণবিক হামলা চালানো’। শনিবার ২০২২ সালের শেষ দিনে কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব দিকে সাগরে পিয়ংইয়ং তিনটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে সিউল। উত্তর কোরিয়ার একটি ড্রোন দক্ষিণের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ার পাঁচদিন পর ক্ষেপণাস্ত্র তিনটি ছোড়া হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, দেশের পারমাণবিক শক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য প্রণীত পরিকল্পনার অধীনে পৃথক আইসিবিএম সিস্টেম তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিম। আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্রের ‘প্রধান লক্ষ্য হবে দ্রুত পাল্টা পারমাণবিক হামলা চালানো’। এতে আরও বলা হয়েছে, ‘বিরাজমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য প্রতিকূল শক্তির উদ্বেগজনক সামরিক পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় সামরিক পেশীকে অপ্রতিরোধ্যভাবে শক্তিশালী করার জন্য দ্বিগুণ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বানও জানিয়েছেন কিম।’ কিম জং উন বলেন, ‘বিবেকহীন এবং বিপজ্জনক অস্ত্র তৈরির প্রতি ঝোঁক এবং শত্রুতাপূর্ণ সামরিক পদক্ষেপের’ কারণে দক্ষিণ কোরিয়া ‘নিঃসন্দেহে আমাদের শত্রু’ হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালের পারমাণবিক ও প্রতিরক্ষা কৌশলের প্রধান লক্ষ্যের বিষয়ে ইঙ্গিত করে কিম বলেন, ‘এতে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপক উৎপাদনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে এবং দেশের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির আহ্বানও রয়েছে।’ রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।