Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হীমেল হাওয়ার সাথে দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে কুয়াশামাখা নিম্ন মুখি তাপমাত্রার পারদ

জনজীবনে বিপর্যয় পাকা আমন আর বোরো বীজতলাও ক্ষতির মুখে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:২৯ পিএম

মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রার সাথে উত্তরের হীমেল হাওয়ায় কাঁপছে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল। গত ৫ দিন ধরে শেষরাত থেকে মেঘনা অববাহিকার সব নদ-নদী থেকে দিগন্ত বিস্তৃত দক্ষিণাঞ্চল যুড়ে মঝারী থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে। সূর্যের মুখ দেখতে অপক্ষোয় থাকতে হচ্ছে অনেক বেলা অবধি। সাথে তাপমাত্রার পারদ মৌসুমের সর্বনি¤œ পর্যায়ে নেমে যাওয়ায় জনজীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ নামার সাথে ঠান্ডাজনিত রোগ ব্যধীর প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের শুধু সরকারী হাসপাতালগুলোতেই নিউমোনিয়া সহ ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিশু ও বৃয়োবৃদ্ধ চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে র সংখ্যাই সর্বাধিক।

মাঠে উঠতি পাকা আমন আর বোরো বীজতলাও ক্ষতির মুখে। চলতি রবি মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৩ লাখ ৬৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের মাধ্যমে ১৬ লাখ ১৮ হাজার ৩৮৪ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যে এখন মাঠে কৃষি যোদ্ধাগন। কিন্তু হীমেল হাওয়ার সাথে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নিচে নামায় বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরির ক্ষতির মুখে।
রোববার সকালে বরিশালে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১১.৯ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও শুক্রবার সকালে মৌসুমের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা ছিল স্বাভাবিকের ৩.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচে। অথচ মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে, বুধবার সকালে বরিশালে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের প্রায় ৬ ডিগ্রী ওপরে ১৯ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠে গিয়েছিল।
মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। তবে সোমবার সকালের পরবর্তি ৪৮ ঘন্টায় তাপমাত্রার পারদ আরো নামবে বলে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলের আকাশ যুড়ে হালকা থেকে মাঝারী মেঘের আনাগোনায় সূর্য বারবরই আড়ালে থাকেছে। ফলে জনজীবনে সংকট আরো বাড়ছে। হীমেল হাওয়ার হাড় কাঁপান শীতে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবনই এখন অনেকটা বিপর্যস্ত। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া দপুরের পরে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
এমনকি এ কনকনে ঠান্ডায় দক্ষিণাঞ্চলের মাঠ যুড়ে পাকা আমন ধান কর্তনও মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। অনেক এলাকায়ই কৃষি শ্রমিকরা মাঠে নামতে পারছেন না হীম শীতল ঠান্ডার সাথে উত্তরের হাওয়ায়। ফলে কৃষকের দুঃশ্চিন্তাও ক্রমশ বাড়ছে। গত বুধবার শেষ রাতে এক দফা বৃষ্টিপাতে দক্ষিনাঞ্চলের উঠতি পাকা আমন কিছুটা ক্ষতির কবলে পড়েছে। সদ্যসমাপ্ত খরিপ-২ মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলায় ৮ লাখ ৬৯ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদকৃত আমন থেকে প্রায় ২০ লাখ ৬০ হাজার টন চাল উৎপাদন লক্ষ্য অতিক্রমের কথা।১-১-২০২৩.



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ