Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উইঘুরদের চীনে নির্বাসন বন্ধে তুরস্কের প্রতি আহ্বান ইটিজিএ’র

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:৩২ এএম
উইঘুরদের গ্রেপ্তার ও নির্বাসন বন্ধে তুরস্ককে আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটনে নির্বাসিত পূর্ব তুর্কিস্তান সরকার (ইটিজিএ)। এ বিষয়ে চীনকে সহযোগিতা না করারও অনুরোধ জানিয়েছে তারা। নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই আহ্বান জানিয়েছে সংসদভিত্তিক গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অফিসিয়াল সংস্থাটি।
 
বিশ্বে পূর্ব তুর্কিস্তানের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে ইটিজিএ। এর সদরদপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে। উইঘুর, কাজাখ এবং পূর্ব তুর্কিস্তানের অন্যান্যদের নিয়ে নির্বাসিত সরকার গঠন করেছে তারা।
 
সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “এর আগে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, তুরস্কের একেপি নেতৃত্বাধীন সরকার জোর দিয়ে বলেছে, তারা উইঘুরদের অধিকার ‘রক্ষা করছে’। যদিও তারা তুরস্কের অভ্যন্তরে পূর্ব তুর্কিস্তানি/উইঘুর সক্রিয়তাকে দুর্বল করতে চীনের সাথে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সহযোগিতায় সক্রিয়ভাবে জড়িত।”
২০১৭ সালে বেইজিংয়ে চীন-তুর্কি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাভুসোগলু বলেছিলেন- “চীনের নিরাপত্তাকে আমরা নিজেদের নিরাপত্তা হিসেবে দেখি। আমরা আমাদের দেশে বা আমাদের অঞ্চলে চীনের বিরুদ্ধে কোনো নেতিবাচক কাজের সুযোগ দেই না। একইভাবে চীনের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রকাশনাসহ সব ধরনের কার্যকলাপে বাধা দেই। এটা দেখেও আমি খুশি যে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হচ্ছে। এই সহযোগিতা ভবিষ্যতে বাড়তে থাকবে।”
 
২০২১ সালের মার্চ মাসে তুরস্কের ক্ষমতাসীন একেপি সরকার তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে একটি প্রস্তাব বাতিল করেছিল। ওই প্রস্তাবে মূলত পূর্ব তুর্কিস্তানে উইঘুর, কাজাখ, কিরগিজ এবং অন্যান্য তুর্কি জনগণের বিরুদ্ধে চীনের চলমান অত্যাচারকে জেনোসাইড বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তুরস্ক ও চীনের মধ্যে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সহযোগিতাও আরও তীব্র হয়েছে।
 
গত ৩ নভেম্বর চীনের জননিরাপত্তা বিষয়ক উপমন্ত্রী ডু হ্যাংওয়েই, তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু এবং তুরস্কের অভিবাসন ব্যবস্থাপনার নির্বাসন বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান রামাজান সেসিলের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিল।
 
বৈঠকের পর ইস্তাম্বুলে বেশ কয়েকজন উইঘুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আটক করে বন্দি শিবিরে পাঠানো হয়। পরে বিশ্বব্যাপী পূর্ব তুর্কিস্তানি/উইঘুর প্রবাসীদের মধ্যে ওই ঘটনা ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু উইঘুরদের নির্বাসনের বিষয়টি অস্বীকার করে সেই অভিযোগগুলোকে মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন।
 
নির্বাসিত পূর্ব তুর্কিস্তান সরকারের প্রধানমন্ত্রী সালিহ হুদায়ারের বরাতে ইটিজিই’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা আবারও তুর্কি সরকারকে উইঘুর অধিকারের রক্ষার বিষয়ে আন্তরিকতা প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ