পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বস্তি ফিরেছে মেট্রোরেল ভ্রমণে। টিকিট কাটার দীর্ঘ লাইন না থাকা ও টিকিট কাটার ভেন্ডিং মেশিনগুলো সচল থাকায় সাধারণ যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সাধারণ যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেল উন্মুক্ত হওয়ার পর গত দুই দিনে মেট্রোস্টেশনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। এমনকি কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকেই ট্রেনে উঠতে পারেননি। তবে গত দুই দিনের মতো গতকাল শনিবার মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী) ও আগারগাঁও স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় নেই। এর অন্যতম কারণ টিকিট বিক্রয় মেশিন বিকল হয়নি। ফলে যাত্রীরা সহজেই টিকিট কেটে ট্রেনে উঠতে পারছেন। গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশনে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি চোখে পড়েনি।
মেট্রোরেল ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। রাজধানীতে প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল করেছে। যানজটে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী জন্য এ যেন এক স্বস্তির নাম। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উত্তরা থেকে আগারগাঁও চলে আসছে মানুষ।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় মেট্রোরেল। তবে প্রথম দুই দিন ভেন্ডিং মেশিনে সমস্যা দেখা দেওয়ায় সাধারণ যাত্রীদের টিকিট পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এতে একদিকে যেমন আসন ফাঁকা রেখে চলতে থাকে ট্রেন, অন্যদিকে যাত্রীরা ট্রেনে উঠতে না পারায় স্টেশনের বাইরে দীর্ঘ হতে থাকে সাধারণ মানুষের সারি।
টিকিট বিক্রয় মেশিনে (ভেন্ডিং মেশিন) দায়িত্বরত মিতু আক্তার মিম বলেন, এখনো টিকিট বিক্রয় মেশিনে সমস্যা হয়নি। ফলে মানুষ সহজে টিকিট পাচ্ছেন। এ জন্য ভিড়ও কম। গত দুই দিনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মেট্রোরেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে হতো সাধারণ যত্রীদের। তবে সেই অবস্থা নেই। ফলে লাইনে না দাঁড়িয়ে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারছেন সাধারণ মানুষ।
এদিকে, মেট্রোরেলে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে রয়েছে এমআরটি পাস কার্ড। মূলত যারা নিয়মিত মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে বারবার টিকিট সংগ্রহ করতে চান না, তাদের জন্য রয়েছে এই কার্ড। যা ব্যবহার করে শুধু টাকা রিচার্জ করেই যতবার খুশি ভ্রমণ করা যাবে।
এমআরটি পাস কার্ড সংগ্রহের দরকার এমআরটি পাস কার্ডের আবেদন ফরম। মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে এ ফরম। ফরমটি পূরণ করে মেট্রোরেলের যেকোনও স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে এমআরটি পাস কার্ড সংগ্রহ করা যাবে।
প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেট্রোরেলের আগারগাঁও ও উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী) স্টেশন থেকে সংগ্রহ করা যাবে এমআরটি পাস কার্ড। প্রতিটি এমআরটি পাস কার্ড কেনা যাবে ৫০০ টাকায়। এরমধ্যে কার্ডের জামানত ২০০ টাকা। বাকি ৩০০ টাকা দিয়ে ভ্রমণ করা যাবে। আর কার্ড জমা দিলে জামানতের টাকা ফেরত দেবে সরকার। মেট্রোরেলের স্টেশন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মেট্রোরেল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমআরটি পাস কার্ড যত বেশি ব্যবহার হবে যাত্রীরা তত দ্রুত মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে পারবেন। এর ফলে টিকিট বিক্রয় মেশিনে চাপ কমবে। কারণ একজন যাত্রীকে বার বার টিকিট বিক্রয় মেশিনের সামনে দাঁড়াতে হবে না। এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহার করে সরাসরি তিনি মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে পারবেন।
আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান বলেন, মেট্রো রেলের যাত্রীরা যারা সিঙ্গেল যাত্রার টিকিট কিনছেন, তারা যদি নিয়মিত যাত্রী হয় তাদের অনুরোধ জানাই এমআরটি পাস কিনে নেন। এমআরটি পাস কিনলে কোথাও লাইন ধরতে হবে না। সরাসরি এসে তিনি এফসি গেটে পাসটি স্পর্শ করেই উঠতে পারছেন মেট্রোরেলে। গত কয়েকদিনে অনেকেই এই পাস কিনেছেন। এজন্য লাইনের দৈর্ঘ্যও কমে এসেছে। এমআরটি পাস কিনলে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে কোনও ঝামেলা থাকবে না।
তিনি বলেন, তৃতীয় দিনে মেট্রোরেলে চড়তে যাত্রীদের তেমন লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না। জনগণ ইতোমধ্যে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। মেশিনগুলো সঠিকভাবে পারফর্ম করছে, আমরা প্রচুর টেকনিশিয়ান রেখেছি। কোনও সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।