Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের চলমান করোনা সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:২৪ পিএম
করোনা মহামারির কারণে চাকরি হারানো, ব্যবসা ও জাতীয় অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতি এবং স্বাস্থ্যসেবার বিপর্যস্ত অবস্থা এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিশ্ব। এরই মধ্যে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনার নতুন ভয়ঙ্কর ধরন বিশ্বব্যাপী বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে-যদি না সঠিক সময়ে এই সংক্রমণ রোধ করা না হয়। খবর হংকং পোস্টের।
 
চীনের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীতে। কোনো কোনো হাসপাতালের একটি আইসিইউ শয্যাও ফাঁকা নেই। কোনো কোনো স্থানে ঠান্ডা জ্বরের প্রাথমিক ওষুধগুলোও পাওয়া যাচ্ছে না। গত তিন বছর বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই মহামারি। এখন চীনের এই সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী আবারও ভয়াবহ পরিস্থিতির তৈরি করতে পারে বলে শঙ্কা জাগাচ্ছে।  
 
এদিকে ২০১৯ সালে বেইজিং যেমন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর তথ্য লুকিয়ে ছিল। এবারও একই পথে হাঁটছে দেশটি। করোনার দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যুর ব্যাপারে সঠিক তথ্য প্রচার করছে না বেইজিং। তারা দেশের নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই সংক্রান্ত দাবি তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। 
 
চীনে দৈনিক ১০ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হচ্ছে বলে ধারণা। সাংহাই এবং বেইজিংয়ের মতো বড় বড় শহরগুলোতে ব্যাপকহারে সংক্রমণ বেড়ে চলছে। হাসপাতাল এবং শবাঘারগুলোতে ভিড় লেগেই আছে। আর রাস্তাঘাট প্রায় শূন্য। রোগীরা হাসপাতালে শয্যা পাচ্ছেন না, বাধ্য হয়ে বেঞ্চ বা মেঝেতে থাকছেন। শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষক এবং কর্মচারীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তিন বছর আগে উহানে করোনার প্রাদুর্ভার দেখা দেওয়ার পর এটাই সবচেয়ে বড় করোনা ঢেউ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এই অবস্থায় চীন কর্তৃপক্ষকে দৃশ্যত নিরুপায় বলে মনে হচ্ছে এবং উদ্ভূত সমস্যা মোকাবিলায় লড়াই করছে।
 
এই ব্যাপারে বেইজিংভিত্তিক চিকিৎসক হাওয়ার্ড বার্নস্টাইন বলেন, উপর থেকে নিচ পর্যন্ত পুরো হাসপাতাল রোগীতে স্রেফ উপচে পড়ছে। সত্যি কথা বলতে আমি মনে করি এসব মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আমরা আসলে এসবের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।
 
হংকং পোস্ট বলেছে, চলতি বছরের শেষে সাংহাই প্রদেশের ২৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার অর্ধেক সংক্রমিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও চীন কর্তৃপক্ষ দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর হিসাব দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বরং দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস অভিযোগ করেছে, পশ্চিমা মিডিয়া চীনের চলমান সংকটকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরছে। পত্রিকাটির দাবি, চীন কর্তৃপক্ষ খুব ভালোভাবে মহামারি মোকাবিলা করছে। 
 
যদিও ফাঁস হওয়া সরকারি নথিতে দেখা গেছে, চীনের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ খারাপ হয়েছে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরিবিষয়ক পরিচালক মাইক রিয়ান বলেছেন, চীনের নিজস্ব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দেশটির আইসিইউতে তুলনামূলক অল্প সংখ্যক রোগী আছে। কিন্তু ব্যক্তিগত তথ্যে জানতে পারি আইসিইউগুলো ভরে যাচ্ছে।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ