নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার কালো মানিক খ্যাত পেলে আর নেই। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান তিনি। তার মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন গোটা ফুটবল বিশ্ব। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। শোকের ছায়া পড়েছে দেশের ফুটবল অঙ্গন ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে। পেলের মৃত্যুতে দারুণ শোকাহত লাল-সবুজের কিংবদন্তী ফুটবলার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চারবারের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। বিশ্ব ফুটবলের ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তীর মৃত্যু প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন গতকাল বলেন,‘বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে যখন পেলের মৃত্যু সংবাদটি জানলাম তখন অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। ভেবেছি একজন একজন করে লিজেন্ডরা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ম্যারাডোনার পর চলে গেলেন পেলেও। মৃত্যু সংবাদ জানার পর বারবার পেলের মুখটা আমার স্মৃতিতে ভেসে উঠছিল। আজ (গতকাল) সকালে ঘুম থেকে উঠেও পেলের কথাই ভাবছিলাম দীর্ঘ সময় ধরে এবং তাকে নিয়ে প্রচারিত বিভিন্ন খবর দেখছিলাম। এক সময় ভাবলাম- এটাইতো পৃথিবীর নিয়ম। এভাবেই তো সবাই চলে যাবেন।’
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সম্্রাট পেলের সঙ্গে দুইবার দেখা হয়েছিল কাজী সালাউদ্দিনের। প্রথমবার ১৯৭৭ সালে ভারতের কলকাতায় এবং দ্বিতীয়বার ২০০৬ সালে জার্মানির ফ্র্যাংকফুটে বিশ্বকাপ ফুটবলের ড্র অনুষ্ঠানে। ১৯৭৭ সালে কসমস (নিউইয়র্ক কসমস) ক্লাবের হয়ে মোহনবাগানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে কলকাতায় এসেছিলেন পেলে। তার সঙ্গে দেখা হওয়ার স্মৃতি হাতড়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘১৯৭৭ সালে কসমস ক্লাবের হয়ে মোহনবাগানের বিপক্ষে তিনি যখন কলকাতায় খেলতে এসেছিলেন তখন আমার সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল পেলের। কথা হয়েছিল খুবই অল্প। কেমন আছেন? আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। এরই মধ্যে তাকে বলেছিলাম, বাংলাদেশে আসতে চান কিনা? পেলে বলেছিলেন, আমাকে ইনভাইট করো, আসবো।’
সালাউদ্দিন যোগ করেন,‘এরপর ২০০৬ সালে জার্মানিতে বিশ্বকাপ ফুটবলের ড্র অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল আমার। ১৯৭৭ সালে তিনি বাংলাদেশে আসার আগ্রহ দেখালেও পেলেকে আনার কোন উদ্যোগ নিতে পারিনি। কারণ, আমি তখন বাফুফের সভাপতি ছিলাম না। বাফুফের সভাপতি হওয়ার পর পেলেকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তখন তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। যে কারণে, চেষ্টাটা সেভাবে এগিয়ে নিতে পারিনি। যার জন্য এখন খারাপ লাগছে।’
মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন পেলে। অবশেষে ৮২ বছর বয়সে ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ব্রাজিলের সাওপাওলোর একটি হাসপাতালে মারা যান পেলে। বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে পেলেই তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। ১৯৫৮ সালে ব্রাজিল যখন প্রথম বিশ্বকাপ জয় করে, তখন পেলের বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। এরপর ১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালেও বিশ্বকাপ জয় করেন তিনি। ২০০০ সালে ফিফার শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন পেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।