Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তেল ও গ্যাস প্রকল্পে দ্বিগুণ বিনিয়োগ করবে বিপি

জ্বালানি উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবে জাপান ও সউদী আরব

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উন্নয়নে একটি যৌথ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে জাপান ও সউদী আরব। জাপানের শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কার্বন রিসাইকেল প্রযুক্তি এবং হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়াকে একটি পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎস হিসেবে ব্যবহারসহ জ্বালানি খাতে সহযোগিতার জন্য সউদী আরবের সঙ্গে একটি স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। খবর জাপান টুডে। জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা ও সউদী আরবের জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান সম্প্রতি রিয়াদে এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে তারা বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমানোর উদ্যোগ নিতে সম্মত হয়েছেন। কয়েক বছর ধরেই সউদী আরব জ্বালানি তেলনির্ভরতা কমিয়ে অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে দেশটি ভিশন ২০৩০ নামে একটি লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতনির্ভর অর্থনীতি গড়ার চেষ্টা করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেল উৎপাদক ও আমদানিকারকদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করার গুরুত্বের বিষয়টি উভয় দেশের প্রতিনিধিরা স্বীকার করেছেন। জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, কার্বন নিঃসরণ ব্যবস্থাপনা এবং এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী নিশিমুরা মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া অঞ্চলে সফর করেন। পাশাপাশি আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে তিনি ছয়দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন। অপর এক খবরে বলা হয়, জীবাশ্ম জ্বালানির প্রকল্পগুলোয় বিনিয়োগ বাড়িয়ে চলেছে বিপি। এ নিয়ে ব্রিটিশ বহুজাতিক জ্বালানি তেল ও গ্যাস কোম্পানিটি সমালোচনার মুখে পড়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে, আগামী বছর প্রতিষ্ঠানটি নবায়নযোগ্যের তুলনায় জ্বালানি তেল ও গ্যাস প্রকল্পে দ্বিগুণ বিনিয়োগ করবে। দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপি জ্বালানি তেল ও গ্যাস প্রকল্পের জন্য ৭৫০ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে। যেখানে পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে সংস্থাটি ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে। সংস্থাটি আগামী বছর জ্বালানি তেল ও গ্যাস, পরিশোধন এবং জৈব জ্বালানি প্রকল্পের মতো হাইড্রোকার্বনে ১০০ কোটি ডলার পর্যন্ত ব্যয় বাড়ানোর আশা করছে। বিপির পরিকল্পনা অনুসারে, ২০২১ সালে বিপির মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৮০ কোটি ডলার। চলতি বছর এ ব্যয় ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার এবং ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বার্ষিক ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার ব্যয় করবে বলে আশা প্রতিষ্ঠানটির। চলতি বছর হাইড্রোকার্বনে সংস্থাটির বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৯০০ কোটি ডলার। ২০২৩-২৫ সালের মধ্যে এ বিনিয়োগ ৯০০ থেকে ১ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে। এর মধ্যে বার্ষিক ৭৫০ কোটি ডলার জ্বালানি তেল ও গ্যাস প্রকল্পে যাবে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩-২৫ সালের মধ্যে কম কার্বন নিঃসরণ জ্বালানি প্রকল্পে বার্ষিক ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। পাশাপাশি দশকের দ্বিতীয়ার্ধে এ বিনিয়োগ বার্ষিক ৪০০ থেকে ৬০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য সংস্থাটির। এছাড়া কনভেনিয়েন্স ও মোবিলিটি বিভাগে আরো ২০০-৩০০ কোটি ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে বিপি। এর মধ্যে ফুয়েল স্টেশন ও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি চার্জিং ব্যবসা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নবায়নযোগ্য শিল্পে দ্রুত অগ্রসর না হওয়ার জন্যও সংস্থাটি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। পরিবেশ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ফ্রেন্ডস অব দি আর্থের নীতি বিভাগের প্রধান মাইক চাইল্ডস বলেন, আপনার অর্থ ব্যয়ের পরিমাণই বলে দেয় যে আপনি কোনটিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এটি দুঃখজনক যে অঅবহাওয়া জরুরি অবস্থার মধ্যেই বিপি পরিবেশবান্ধব ও নবায়নযোগ্যের পরিবর্তে পৃথিবী উষ্ণায়নে অবদান রাখা জীবাশ্ম জ্বালানিতে লাখ লাখ ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। জাপান টুডে, গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ