পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ব্যয় বাড়াতে আমাদের দেশে উন্নয়ন কাজ বিলম্ব করার ট্র্যাডিশন রয়েছে। বাংলাদেশে এটা পরিকল্পিতভাবে করা হলেও যেটি চায়না বা জাপানিরা করে না। তারা মেয়াদের আগে কাজ শেষ করে। মেট্রোরেলের কাজও ৬ মাস আগে শেষ করে তারা টাকা ফেরত দিয়েছে। কিন্তু এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের কাজ বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটের এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশিদের চেয়ে চিনারা অনেক অভিজ্ঞ জানিয়ে ড. আবদুল মোমেন বলেন, তারা চাইলে জনবল ও ইকুইপমেন্ট বাড়িয়ে ২০২৩ সালেই নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ সম্পন্ন করতে পারে।

তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছিল। সেটি আমরা সমাধান করেছি। রেলওয়ে ব্যতিরেকে আমার নির্বাচনী ওয়াদাগুলো পালন করতে সক্ষম হয়েছি।

কর অঞ্চল সিলেটের কর কমিশনার আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট রেঞ্জের উপ মহা পরিদর্শক (ডিআইজি) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন, কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম. রফিকুর রহমান, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মো. শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ, প্রকল্প পরিচালক শাহ জুলফিকার হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।