Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিরামিষ বিরিয়ানিতে হাড়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

গ্রাহক চেয়েছিলেন নিরামিষ বিরিয়ানি। তাতে মিলল গোশতের হাড়। আর আমিষ-নিরামিষ তরজা গড়াল থানা পর্যন্ত। রেস্তোরাঁর মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন গ্রাহক। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বিজয় নগর এলাকায়। ঘটনার সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। ইন্দোরে ডিসিপি সম্পত উপাধ্যায়া জানিয়েছেন, শালিমার টাউনশিপের বাসিন্দা আকাশ দুবে বিজয় নগর এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন বিরিয়ানি খেতে। রেস্তোরাঁয় গিয়ে নিরামিষ বিরিয়ানির অর্ডান দেন তিনি। কিন্তু বিরিয়ানি খাওয়ার সময় মূর্ছা যাবার যোগাড় নিরামিষ ভক্ষণকারী আকাশের। রেস্তোরাঁর কর্মীরা তাঁকে চিকেন বিরিয়ানি দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নিরামিষের পরিবর্তে কেন তাঁকে আমিষ বিরিয়ানি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে রেস্তোরাঁর কর্মীদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আকাশ। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমাও প্রার্থনা করেন রেস্তোরাঁর কর্মীরা। পরিস্থিতি তখনকার মতো স্বাভাবিকও হয়ে যায় বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। নিরামিষের পরিবর্তে আমিষ বিরিয়ানি দেওয়ার জন্য রেস্তোরাঁর কর্মীরা ক্ষমা চাইলেও তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ইন্দোরের শালিমার টাউনশিপের বাসিন্দা। রেস্তোরাঁর মালিক স্বপ্নীল গুজরাটির বিরুদ্ধে বিজয় নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। আকাশ দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে রেস্তোরাঁর মালিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দÐবিধির ২৯৮ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে। রেস্তোরাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপেরও ইঙ্গিত দিয়েছে বিজয়নগর থানার পুলিশ।
আকাশ দুবের মতো দেশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা মাছ-মাংস-র ধারেকাছে যান না। নিরামিষ জীবনেই অভ্যস্ত তারা। ধর্মীয় হোক, বা অন্য কোনো কারণ, এ নিরামিষের উপরই আস্থা রেখে চলে আসছেন। তাঁদের এই বিশ্বাসে বাইরে কারোর দ্বারা আঘাত লাগলে অনেক সময় সহ্যের বাইরে চলে যায়। তাই বলে, শেষ পর্যন্ত আইনের রাস্তায়! এখনও পর্যন্ত এমন নজির খুব একটা নেই।
অর্ডার করা বিরিয়ানি টেবিলে পৌঁছতে দেরি হচ্ছিল। আর এই দেরি হওয়ার কারণে এক রেস্টুরেন্ট কর্মীকে বেধড়ক পেটালেন তিনজন গ্রাহক। স¤প্রতি, এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার আনসাল প্লাজা মল। গত নভেম্বর মাসে ঘটনাটি ঘটে। মারধরের ভিডিয়ো সোসাল মিডিয়ায় হয় ভাইরাল। ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। অভিযুক্ত তিনজনই ছিলেন উত্তর প্রদেশের দাদরি এলাকার বাসিন্দা। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ