চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২২ সালে ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর ইকোনোমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর)। কিন্তু এ বছর দেশটির প্রবৃদ্ধির যে অনুমান বা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল এই অর্জন তার চেয়ে অনেক কম। আর এর পেছনে কারণ
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কঠোর শূন্য কোভিড নীতি ও
লকডাউন।
লন্ডন ভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সিইবিআর জানিয়েছে, হংকংয়ে শূন্য কোভিড নীতি প্রত্যাহার করা হয়েছে, তবে তা পুরোপুরি নয়। এছাড়া দেশের পুরো জনসংখ্যা ভালোভাবে টিকাগ্রহণের আওতায় না এলে চীনের মূল ভূখণ্ডে এই বিধিনিষেধ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হবে না।
এনডিটিভি জানিয়েছে, চীন উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ। ২০২২ সালে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ২৯১ ডলার। ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিললে সিইবিআর বলছে, চীন ২০২০ সালে ২ দশমিক ২ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
পরের বছর ৮ দশমিক ১ শতাংশ হয়। কিন্তু ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধির কমতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছিলো। আর সেই প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ।
এ বছরই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) ২০তম জাতীয় কংগ্রেসে তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা লাভ করেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার নতুন মেয়াদের দায়িত্বকালে ইতোমধ্যে প্রকৃত সম্পত্তি বিপর্যয় এবং শূন্য কোভিড নীতির ফলে আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে বেইজিং, যার প্রভাব পড়েছে দেশের উৎপাদন মডেলে।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, চীনের জিডিপি ২০২২ সালে সাড়ে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছিলো, যা ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এ বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা ছিল ৮ দশমিক ১ শতাংশ। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও ২০২২ সালে চীনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ৩ দশমিক ২ শতাংশ উন্নয়নের পূর্বাভাস দিয়েছে। যদিও সিইবিআর এই প্রবৃদ্ধির কথাই বলছে।