Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাক-ভারত টেস্ট হচ্ছে মেলবোর্নে!

সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে নেমেছে এমসিসি ও সরকার

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

৯০ হাজার ৩৯২ জন দর্শক, সব বয়সী মানুষের বিপুল সমাবেশ, চিৎকার-আওয়াজ আর গর্জন মিলিয়ে উৎসবের আবহ। অথচ ম্যাচে নেই স্বাগতিক দল! গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) দেখা গেছে এই চিত্র। সেখান থেকেই নতুন সম্ভাবনার দুয়ার দেখছে দ্য মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। এমসিজি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এই ক্লাবের। তারা এবং ভিক্টোরিয়া সরকার অনানুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছে এই মাঠে ভারত-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ আয়োজনের সম্ভাব্যতা নিয়ে।
রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে ২০০৭ সালের পর থেকে টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হয়নি ভারত ও পাকিস্তান। ২০১৩ সালের পর থেকে দুই দেশের সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ আছে। তাদের দেখা হয় কেবল এশিয়া কাপ ও বিশ্ব আসরগুলোয়। গত বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে মেলবোর্নে যে আবহ ছিল, তা চমকে দিয়েছে এমসিজি কর্তৃপক্ষকেও। এমনকি ফাইনালে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান লড়াইয়েও দর্শক ছিল ৮০ হাজারের বেশি, যাদের বেশির ভাগই ছিল পাকিস্তানি। মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান নির্বাহী স্টুয়ার্ট ফক্স গতকাল এসইএন রেডিওতে কথোপকথনে বলেন, তারা এই সিরিজ আয়োজনে প্রবল আগ্রহী, যদিও ব্যস্ত সূচি বড় একটি সমস্যা, ‘এমসিজিকে এই রূপে আমি কখনোই দেখিনি, ওই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আবহ ছিল ভিন্ন কিছু। যে পরিবেশ ছিল, কখনোই এমন কিছু দেখিনি আমি। প্রতিটি বলের পর যে গর্জন, তা ছিল অবিশ্বাস্য। পরিবার, শিশুরা সবাই মিলে উপভোগ করেছে। এমসিজিতে টানা তিনটি টেস্ট (ভারত-পাকিস্তানের) আয়োজন করতে পারা হবে দারুণ। প্রতিবারই মাঠ হয়তো পরিপূর্ণ থাকবে।’
এখনও পুরোপুরি নিশ্চয়তা না দিলেও সম্ভাবনার দুয়ার খোলাই রাখলেন এই ক্রিকেট কর্তা, ‘আমরা জিজ্ঞেস করেছি, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছি। ভিক্টোরিয়া সরকারও আলোচনা করেছে বলে আমি জানি। যদিও খুব জটিল হবে ব্যাপারটি, বিশেষ করে ব্যস্ত সূচির কারণে। এটিই সম্ভবত বড় চ্যালেঞ্জ।’ ফক্স অবশ্য বলছেন, সূচির ব্যাপারটি তারা সামলে নেবেন। এখন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব ব্যাপারটিকে আইসিসির সভায় উত্থাপন করা, ‘আশা করি, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ব্যাপারটিকে আইসিসিতে নিয়ে যাবে এবং চেষ্টা চালিয়ে যাবে। ক্রিকেট বিশ্ব জুড়ে টেস্ট ম্যাচে অনেক স্টেডিয়ামেই গ্যালারি ফাঁকা থাকে। এখানে গ্যালারি পূর্ণ থাকবে এবং দারুণ আবহে খেলা উপভোগ করা যাবে।’
আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচিতে অবশ্য ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই দুই দলের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতিরও আভাস মেলেনি একটুও। বরং আগামী বছর পাকিস্তানে এশিয়া কাপ ও ভারতে বিশ্বকাপ ঘিরে উত্তেজনার রেশই ছড়িয়েছে কিছুটা। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার এক মুখপাত্র ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেন, এই উদ্যোগে সবচেয়ে বেশি জরুরি ভারত ও পাকিস্তানের বোর্ডের একমত হওয়া, ‘এখানে দুই দেশেরই রাজি হওয়ার ব্যাপার আছে। তবে এমন সম্ভাবনা যদি তৈরি হয় যে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ভারত-পাকিস্তান টেস্ট হবে, আমরা তা অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজনে আগ্রহী। বিশ্বকাপে এই দুই দলের সমর্থকেরা ছিলেন অসাধারণ এবং ওই সমর্থকদের বেশির ভাগই অস্ট্রেলিয়ায় বাস করেন।’
আগামী বছরই অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে পাকিস্তান। তিন ম্যাচের সেই সিরিজে এমসিজিতে বক্সিং ডে টেস্টও খেলবে তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ