নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারন হয়ে গিয়েছিল আগেই। কেবল দেখার অপেক্ষা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা বক্সিং ডে টেস্টের গোটা চতুর্থ দিনটা লড়াই চালিয়ে যেতে পারে কিনা। পারল না প্রোটিয়ারা। সুদীর্ঘ সতের বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে মেলবোর্নে স্বাগতিকরা এতোটা সহজে ম্যাচ ছিনিয়ে নিবে প্রতিপক্ষ থেকে এটা ভাবা যায়নি। একেতে চোটের কারণে বোলিংয়ে নেই ক্যামেরন গ্রিন। মিচেল স্টার্ককে বল করতে হয়েছে আঙুলে চোট নিয়েই। তবে কিছুই বাঁধা হয়ে দাড়ালো না শেন ওয়ার্নকে বুকে বেঁধে মাঠে নামা অজিদের জন্য। গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইনিংস ও ১৮২ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশের মাটিতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। সফরকারীরা চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে ১ উইকেটে ১৫ রান নিয়ে, আর গুটিয়ে যাওয়ার আগে সংগ্রহ করতে পেরেছিল ২০৮ রান। স্বাগতিকদের পক্ষে নাথান লায়ন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন।
গতকাল দলীয় ৪৭ রানে মিচেল স্টার্কের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সারেল এরউইয়ার, এই ওপেনারের সংগ্রহ ছিল ২১ রান। খানিক বাদে ২৮ রান করা থিউনিস ডি ব্রেইনও সাজঘরের পথ ধরনে স্কট বোল্যান্ডের লাফিয়ে উঠা বলে সিøপে ক্যাচ দিয়ে। খায়া জন্ডো যেভাবে দলীয় ৬৫ রানের সময় রান আউটে কাটা পড়লেন তা ছিল অসম্ভব হতাশাজনক। সাদা পোষাকে এতো ঝুঁকিপূর্ণ রানের জন্য দৌড়ানো আর সাইবেরিয়াতে খালি গায়ে দৌঁড়ানো একই অর্থ তৈরি করে, নির্ঘাত মৃত্যু। তারপর অবশ্য ৬৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয়টা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বাভুমা ও কাইল ভেরেইনে। ভেরেইনে ৪০ বলে ৩৩ রান করে বোল্যান্ডের শিকার হয়ে ফিরলে ভাঙ্গে সে প্রতিরোধ। মার্কো ইয়ানসেনকে দ্রুত ফেরান লায়ন।
বাভুমা হাল না ছেড়ে কেশব মহারাজকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আবারো রান আউটের হানা! ভুল বোঝাবুঝিতে ১৩ রান করে বিদায় নেন মহারাজ। ভাঙে ৩০ রানের জুটি। সঙ্গী হারিয়ে বাভুমা পরের ওভারেই বিদায় নেন। সমাপ্তি ঘটে তার ১৪৪ বলে ৬৫ রানের ইনিংসের। তাকে ফেরানোর পর কাগিসো রাবাদাকেও তুলে নেন লায়ন। শেষ উইকেটে লুঙ্গি এনগিডি ও আনরিখ নরকিয়ার ২৭ রানের জুটিতে দুইশ ছাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ। তবে রপর পরই ২০৪ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন শততম টেস্টে দ্বিশতক হাঁকানো অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
সবশেষ ২০০৫-০৬ মৌসুমে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হারিয়েছিল প্রোটিয়াদের। এরপর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে আরও তিনবার অজিদের টেস্ট সিরিজ হারের তেতো স্বাদ দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে অবশেষে ছেদ পড়ল সেই রীতির।
এই টেস্টের আগে ফর্ম নিয়ে ভীষণ চাপে ছিলেন তিনি। সেই চাপ সামলে ওয়ার্নকে স্মরণ করা ম্যাচে ২০০ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেন তিনি। তার কাঁধে চড়ে ৮ উইকেটে ৫৭৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। চোটের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে নিতে পারেননি অলরাউন্ডার গ্রিন। তিনি প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন ২৭ রানে। তার তোপে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছিল মাত্র ১৮৯ রানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।