নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রমিজ রাজাকে। তার জায়গা নেন নাজাম শেঠি। পরিবর্তন আনা হয় নির্বাচক প্যানেলেও। শহীদ আফ্রিদিকে বানানো হয় প্রধান নির্বাচক। আবদুর রাজ্জাক ও রাও ইফতিখারকে বসানো হয় আফ্রিদির সহকারী হিসেবে। পিসিবি চেয়ারম্যানের পদ হারানো এখনো মেনে নিতে পারছেন না রমিজ রাজা। সাবেক এই ক্রিকেটারের দাবি, তার মেয়াদে সাদা বলে পাকিস্তান বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আর এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভারতকেও টেনে এনে এনেছেন রমিজ।
রমিজ পিসিবি চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছিল পাকিস্তান। এবার ২০২২ আসরে খেলেছে ফাইনাল। এ ছাড়া আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া এশিয়া কাপেও ফাইনাল খেলেছেন বাবর আজমরা। যদিও শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিততে পারেনি। রমিজ রাজার দাবি, সাদা বলে পাকিস্তান ‘অসাধারণ’ খেলায় ভারত বাধ্য হয়েছে নিজেদের কাঠামোয় বদল আনতে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘সুনো টিভি’কে রমিজ বলেছেন, ‘সাদা বলে আমরা অসাধারণ খেলেছি। আমরা এশিয়া কাপ ফাইনালে খেলেছি, ভারত উঠতে পারেনি। বিলিয়ন ডলারের বাজার নিয়েও ভারত পেছনে পড়ে থেকেছে। এরপর তারা প্রধান নির্বাচক থেকে নির্বাচক প্যানেল বদল করেছে। অধিনায়কও পাল্টেছে। কারণ, পাকিস্তানের এগিয়ে যাওয়া তারা হজম করতে পারেনি।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমলে চেয়ারম্যান হওয়া রমিজকে সরিয়ে দেওয়া হয় গত ২২ ডিসেম্বর। আকস্মিকভাবে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার তিন দিন পর এ বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি। ইউটিউব ও টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ধরন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে রমিজ বলেন, ‘তারা ক্রিকেট বোর্ডে এক ধরনের আক্রমণই করেছে। আমার জিনিসপত্রগুলো নেওয়ারও সুযোগ দেয়নি। ১৭ জনের একটি দল অফিসে আসে। তাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছিল, অফিস তল্লাশি করতে যেন ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির লোকেরা এসেছে।’ এসময় নতুন দায়িত্ব পাওয়া নাজাম শেঠিকে ক্রিকেটের বাইরের লোক উল্লেখ করে রমিজ বলেছেন, ‘পাকিস্তান সরকার নাজাম শেঠিকে দায়িত্ব দিতে একজন টেস্ট ক্রিকেটারকে সরিয়ে দিয়েছে, যা খুবই অসম্মানজনক। আমার জীবনে এমন কিছু দেখিনি।’ রমিজ এ বিষয়ে নিজের উপলব্ধি বোঝাতে গিয়ে টেনে আনেন বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ফ্রান্স ফুটবল দলকেও, ‘বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার পরও ফ্রান্স গোটা বোর্ড বদল করলে যেমন হতো, আমার বিষয়টিও তেমনই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।