চীন দুটি বিশেষ জনতাত্ত্বিক প্রোফাইলিং কর্মসূচি চালাচ্ছে যা বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং রাজনৈতিক নেতাদের বিরোধিতার মুখে পড়েছে।
তিব্বত প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশটির কিংহাই প্রদেশে ব্যাপকহারে মানুষের চোখ পরীক্ষা করছে কর্তৃপক্ষ এবং আরেকটি কর্মসূচিতে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য গণহারে রক্তের নমুনা নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব দেখে মনে হচ্ছে কর্মসূচিগুলো বিশ্বের অন্যান্য দেশে চলা কর্মসূচির মতো খুবই সাধারণই। কিন্তু নিজেদের দখলে থাকা উপনিবেশের প্রতি চীনের ব্যবহারের ইতিহাস ব্যাপক সন্দেহ তৈরি করেছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্বের ১৫টি আইনসভার আইনপ্রণেতারা উইঘুর, তিব্বত এবং চীনের অন্যান্য স্থানে বায়োমেট্রিক নজরদারি চালাতে চীনা সরকারকে প্রযুক্তি সরবরাহকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম তদন্ত ও স্থগিত করতে নিজ নিজ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে।
দুই ডজন সংসদ সদস্য এক যৌথ চিঠিতে বলেন, আমরা ইন্টার-পার্লামেন্টারি অ্যালায়েন্স অন চায়নার (আইপিএসি) সদস্যরা গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সরকার (পিআরসি) কর্তৃক সংখ্যালঘুদের উপর নজরদারি বাড়ানোর জন্য গণহারে ডিএনএ সংগ্রহ এবং তা ব্যবহারে ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে লিখছি। বিশেষ করে তিব্বত এবং উইঘুর অঞ্চলে এই সংক্রান্ত যেসব কর্মসূচি চলছে সে ব্যাপারে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য মানবাধিকার গোষ্ঠীর রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ২০১৬ সালের জুনের পর থেকে চীন সরকার স্বায়ত্তশাসিত তিব্বত অঞ্চলে একটি গণ ডিএনএ সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। যে কর্মসূচিতে শিশুসহ তিব্বতের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে ওই আইনপ্রণেতারা তাদের সরকারের কাছে এই ব্যাপারে আরও তদন্ত করতে এবং চীনা বিজিআই গ্রুপ এবং থার্মো ফিশারের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন।