পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক বলেছেন, আমাদের মেট্রোরেলের কারণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমরা দেখেছি ডিএমটিসিএলের আওতায় ১২ হাজার প্রকৌশলী ও মাঠ-প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার স্বপ্নের মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধনের পর উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনের পাশে আয়োজিত সুধী-সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিঙ্ক ইন্ড্রাস্ট্রিগুলো থেকে চারগুণ বাংলাদেশির চাকরির সুযোগ হবে। আমরা মেট্রোরেল ট্রেনিং সেন্টার করেছি। এটা বিশ্বের সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে কাজ করবে। এখানে যারা প্রশিক্ষণ নেবেন তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেখানে মেট্রোরেল আছে সেখানে দক্ষ জনবল হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। আমরা সে ধরনের জনবল সরবরাহ করতে পারব। এতে আমাদের বিদেশি রেমিট্যান্স প্রবাহে ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখবে।
এমআরটি লাইনে ঘণ্টায় প্রতিদিন ৬০ হাজার এবং প্রতিদিন পাঁচ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে— উল্লেখ করে ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এটা বৈদ্যুতিক ট্রেন। এখানে জীবাশ্ম বা তরল জ্বালানি ব্যবহার করা হবে না। কাজেই পরিবেশে এটা বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। বরং পরিবেশ উন্নয়নে সহায়তা করবে। কারণ, মেট্রোরেল যখন চলাচল করবে তখন ছোট ছোট গাড়ি ক্রমান্বয়ে কমে যাবে। এর মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানি বার্ন হয়ে পরিবেশকে যে দূষণ করছিল সেখান থেকেও আমরা পরিত্রাণ পাব।
করোনার সময়ও মেট্রোরেলের কাজ বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কোভিড প্রটোকল মেনেই কাজ করেছি। বিদেশি যারা এখানে কাজ করেন তাদের জন্য আমরা হাসপাতাল করেছিলাম। যে কারণে আজ নির্ধারিত সময়ের আগেই মেট্রোরেল উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ বøকের খেলার মাঠে আয়োজিত সুধী-সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তমোহিদে, জাপান রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।