সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পারস্পরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি করে চলেছে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। দেশের ভবিষ্যত নিরাপত্তা প্রশ্নে ভবিষ্যত কোনো সংকটে পড়লে নিজেদের যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে বলেই মনে করছে তারা।
জাপান টাইমস জানিয়েছে, গত অক্টোবরে উভয় দেশ নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক যৌথ ঘোষণা দেয়। জরুরি পরিস্থিতিতে দুই দেশ সহযোগিতামূলক সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানায় সেখানে। ওই ঘোষণায় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনে একতরফাভাবে চীনের হালকা পরোক্ষ হুমকির উদ্বেগ উঠে আসে।
১৫ বছর আগে তাদের একইরকম যৌথ ঘোষণায় চীনকে নিয়ে কোনো উদ্বেগ জানায়নি তারা। সে সময় থেকেই চীনের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার বোঝাপড়া সুস্পষ্টভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আর জাপান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীন সম্পর্কিত ঝুঁকি মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মৈত্রীর সম্পর্ক জোরদার করতে চায়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ অস্ট্রেলিয়ার পার্থে গত ২২ অক্টোবর বৈঠক করে নিজেদের যৌথ ঘোষণায় সই করেন। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আলবানিজ বলেন, “এই যুগান্তকারী ঘোষণা ওই অঞ্চলে আমাদের কৌশলগত অবস্থানের একটি শক্তিশালী সংকেত পাঠায়।”
অন্যদিকে ফুমিও কিশিদা বলেন, "যৌথ ঘোষণায় আমাদের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও গভীর করার লক্ষ্য রয়েছে।”
২০০৭ সালেল মার্চে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করেন। তারপর থেকে দুই দেশ নিরাপত্তা বিষয়ে সহযোগিতার ঘোষণা প্রচার করেছে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া একই সময়ে চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
কিন্তু ২০২০ সালে
করোনাভাইরাসের উত্স নিয়ে চীনকে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ হয়। গত এপ্রিলে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি করে চীন, যা অস্ট্রেলিয়ার জন্য নিরাপত্তা ইস্যুতে কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে।