Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডমিঙ্গোর ৩ বছর ৪ মাসে কি পেল দেশের ক্রিকেট?

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

অনেকটা অনুমিতই, আবার আচমকাও বলা যায়। দুদিন আগে এক অনুষ্ঠানে রাসেল ডমিঙ্গোর পারফরম্যান্সে ‘সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। কিন্তু জাতীয় দল নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা বলে দিয়েছিলেন পরিবর্তনের আভাস। বিসিবি বসের কথায় ব্যাপারটি স্পষ্ট না হলেও বিসিবি সূত্রে জানা যায়, ডমিঙ্গো বিদায় নিচ্ছেন। ভারতের বিপক্ষে সিরিজই যে তার শেষ অ্যাসাইনমেন্ট, এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্তও বিসিবি নিয়ে ফেলেছিল আগেই। দক্ষিণ আফ্রিকান কোচের সম্মানজনক বিদায়েরই উপায় খোঁজা হচ্ছিল, সেই সুযোগ ডমিঙ্গো নিজেই করে দিয়েছেন পদত্যাগ করে। গতপরশু রাতে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগে ই-মেইল করে জানিয়ে দেন, তিনি আর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ থাকছেন না। তাতে শেষ হয়ে গেল লাল-সবুজের ক্রিকেটে ৩ বছর ৪ মাসের ডমিঙ্গো অধ্যায়।
২০১৯ সালের আগস্টে ডমিঙ্গো বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্টিভ রোডসের স্থলাভিষিক্ত হয়ে। যদিও শুরুর দিকে তার অধীনে খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে হারতে হয়েছিল। পাকিস্তানে বাংলাদেশ হেরেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও টেস্ট। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও বাজেভাবে হারতে হয়েছিল টেস্ট সিরিজ। সাদা পোষাকে তার অধীনে জয় এসেছে কেবল তিনটি। এর একটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। তবে প্রোটিয়া কোচের অধীনে ২২ টেস্ট খেলে ১৭টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। ড্র আছে ২টি। টি-টোয়েন্টিতেও খুব সফল তিনি নন। ৫৯টি টি-টোয়েন্টি খেলে ৩৫টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, জিতেছে ২৩টি। একটিতে কোনো ফল হয়নি। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় তার এই সংস্করণে সবচেয়ে বড় সাফল্য।
ডমিঙ্গো অবশ্য নিজেকে সত্যিকার অর্থে সফল দাবি করতে পারেন ৫০ ওভারের ক্রিকেটে। তার সময়ে ৩০টি ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ জিতেছে ২১টিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এ বছর ওয়ানডে সিরিজ জয়, তার সবচেয়ে বড় সাফল্য। বাংলাদেশের কোচ হিসেবে তার শেষ অ্যাসাইনমেন্টেও ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সিরিজ জয় এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও।
২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু তার ওপরই আস্থা রাখা হয়েছিল। কিন্তু এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টি-টোয়েন্টি পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ভারতের শ্রীধরন শ্রীরাম। টি-টোয়েন্টি দল থেকে দূরে ঠেলে দেওয়া হয় ডমিঙ্গোকে। এর আগে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে সাবেক হেড কোচ জেমি সিডন্সের নিয়োগও তার কাজ অনেকটাই সংকুচিত করে দিয়েছিল। তাতেই নিজের ভবিষ্যত বুঝতে পেরেই কি-না, সম্মানজনক দিবায়ের পথই বেছে নিলেন ডমিঙ্গো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ