মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কসোভোতে বসবাসরত সার্বদের ওপর হামলার আশঙ্কায় সার্বিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে। সে দেশের সেনাবাহিনী যুদ্ধ প্রস্তুতির সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইলোস ভুচেভিচের বরাত দিয়ে ইউরো নিউজ এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর এই সামরিক পদক্ষেপ কসোভোর পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভিওসা ওসমানী অভ্যন্তরীণ শান্তি ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্ভাব্য হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশের সবচেয়ে সার্ব জনবহুল এলাকা মিত্রোভিকা নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। উসমানীয় বাহিনী শহরের সার্বদের আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কা গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে শহরের সার্ব বাসিন্দারা শহরের সার্ব-অধ্যুষিত ও আলবেনিয়ান-অধ্যুষিত এলাকার সংযোগকারী সড়কে বিশাল ট্রাক স্থাপন করে দুইটি এলাকাকে একে অপরের থেকে আলাদা করেছে। কিন্তু খবর হলো, সেনাবাহিনী ব্যারিকেড ভেঙে আক্রমণ করবে। খবরে বলা হয়, উত্তর কসোভোতে মিত্রোভিকা শহরে সার্ব বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার নতুন করে সড়ক অবরোধ করেছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর সার্বিয়া নিজেদের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে দুই দেশের উত্তেজনা চলমান থাকার পর এই নির্দেশ দিলো প্রিস্টিনা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। কসোভোর জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ আলবেনীয় জাতিগোষ্ঠীর। ১৯৯৮-৯৯ সালে যুদ্ধের পর সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয় কসোভো। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়নি সার্বিয়া। সোমবার শেষ রাতে সার্বিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পাল্টা পদক্ষেপ এবং কসোভো সার্বিয়ায় আক্রমণের পরিকল্পনা করছে বলে ধারণা থেকে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুচিক সার্বিয়ার সেনাবাহিনী ও পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আতঙ্কের কোনও কারণ নেই কিন্তু উদ্বেগ রয়েছে। ১০ ডিসেম্বর থেকে কসোভোর উত্তরাঞ্চলে সার্বরা মাত্রোভিকা শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে একাধিকবার রোডব্লক বসিয়েছে। সাবেক সার্ব পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পরে পুলিশের সঙ্গে গুলিবিনিময়ও হয়েছে। আলবেনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ কসোভোর উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার সার্ব বসবাস করে। তারা সার্বিয়ার সরকার বা রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে দেয়নি। তারা বেলগ্রেডকে নিজেদের রাজধানী মনে করে। এদেরকে সমর্থন দিচ্ছে সার্বিয়া। কসোভোর সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, অপরাধী চক্রের সঙ্গে সংলাপে লিপ্ত হতে পারে না কসোভো এবং স্বাধীন চলাচলে ফিরিয়ে আনতে হবে। রাস্তায় কোনও ব্যারিকেড থাকবে না। তারা দাবি করেছে, তাদের পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। কিন্তু তারা ন্যাটোর শান্তিরক্ষী বাহিনীর অপেক্ষা আছে। ইউরো নিউজ, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।