Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খ্রিষ্টানদের ওপর হামলা ছত্তিশগড়ে

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ভারতের বিভিন্ন স্থানে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। খ্রিষ্টান পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে,ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের বসবাস বেশি এমন ছত্তিশগড় রাজ্যে হামলা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে বড়দিনের দিনে ছয় শতাধিক খ্রিষ্টান বাস্তুচ্যুত ছিল। এর এক সপ্তাহ আগে উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা চালিয়েছে। ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করায় ২০টি গ্রামে খ্রিষ্টানদের ওপর আক্রমণ শুরু করে, তাদের বাড়িঘর, গির্জা এবং সম্পত্তি ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের অনেকের হাড় ভেঙে গেছে। খ্রিষ্টানদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারতের বেশ কয়েকটি মানবাধিকার ও সামাজিক সংগঠন গত সোমবার রাতে একটি সংক্ষিপ্ত ‘সত্যানুসন্ধান’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছত্তিশগড়ের দক্ষিণাঞ্চলে নারায়ণপুর এবং কোন্ডাগাঁও জেলায় গত কয়েক দিনে অসংখ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সংগঠিত প্রচারের মাধ্যমে দুই জেলায়ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের মধ্যে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জোর করে হিন্দুধর্মে ধর্মান্তর করার চেষ্টা চলছে। ৯ থেকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে নারায়ণপুরে অন্তত ১৮টি এবং কোন্ডাগাঁও জেলার ১৫টি গ্রামের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা হয়েছে। অন্তত এক হাজার মানুষ গ্রামছাড়া হয়েছে। খ্রিষ্টানদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, গ্রামে ফিরতে হলে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে হবে। ধর্মান্তরিত না হলে তাদের হত্যা করা হতে পারে বলেও ভয় দেখানো হয়েছে। হামলার শিকার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছ থেকে বাইবেল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছত্তিশগড় রাজ্যের প্রভাবশালী এ খ্রিষ্টান নেতারা বলছেন, সোমবার রাহুল গান্ধীর অটল বিহারি বাজপেয়ীর সমাধিস্থলে যাওয়া প্রমাণ করে যে সংখ্যালঘু প্রশ্নে কংগ্রেসের আদর্শ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) থেকে আর আলাদা নয়। ছত্তিশগড়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। কারণ, হামলার সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে।ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মানুষের জমি–বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এই শীতের মধ্যে তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তাদের পাশে নেই। খ্রিষ্টান পোস্ট, হিন্দুস্তান টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ