পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্র্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ব্রেক্সিটের কারণে ক্ষতি হবে না বরং ইউকে-বাংলাদেশ বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের সাথে চলমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চায় যুক্তরাজ্য। বর্তমানে যুক্তরাজ্য একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক। আমেরিকা, জার্মানির পরই যুক্তরাজ্যের অবস্থান। বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের ২০০-এর বেশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের পদ্মা সেতু থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল সংযোগ প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাজ্য সন্তোষ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চলমান বিনিয়োগ পলিসির প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাজ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্য চাইলে যে কোনো একটি ইকনমিক জোন বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্য দূত রুশনারা আলী এমপি-র সঙ্গে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ সব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তোফায়েল আহমেদ বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক। রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ এভ্রিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) নীতিতে যুক্তরাজ্যে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা পেয়ে আসছে। ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশের সাথে রপ্তানি বাণিজ্যে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না। উভয় দেশেল মধ্যে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ নীতি খুবই আকর্ষণীয় যে কোনো বিনিয়োগকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবে, প্রয়োজনে লাভসহ বিনিয়োগকৃত অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবে। বাংলাদেশ আইনদ্বারা এ নিশ্চয়তা প্রদান করেছে। ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ খুবই নিরাপদ।
বাণিজ্য দূত রুশনারা আলী বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক ও উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক যুক্তরাজ্যে বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে যুক্তরাজ্য খুশি। যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। একটি রেল সংযোগ প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। আরো বিনিয়োগের প্রচেষ্টা চলছে। আশা করা যায় বাংলাদেশে আরো বড় বড় প্রকল্পে যুক্তরাজ্য বিনিয়োগ করা হবে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং যুগ্মসচিব (এফটিএ) মুনির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হলেও তা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, এবার জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছবে। তিনি বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আমাদের জিডিপি ছিলো ৬ শতাংশ, ১৫-১৬ অর্থবছরে অর্জিত হয় ৭ দশমিক ১ শতাংশ আর এবার আমাদের অর্জন দাঁড়াবে ৭.৫ শতাংশে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ইকোনোমিক্স অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স- আইসিবিএমইএসএস ২০১৬’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। উত্তরা ইউনিভার্সিটি, এমডিসা ও জিবিএমএফ এর যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ দেশকে যারা একসময় বটমলেস বাসকেট বলতেন, তারাই আজ বলছেন ‘বাংলাদেশ ইজ নাথিং বাট এ মিরাকল’। স্বাধীনতার সময় সাত কোটি মানুষের যেখানে খাদ্য সংকট ছিলো এখন ১৬ কোটি মানুষ হওয়া সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে খাদ্য রপ্তানি করছে। ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছবে বলেও জানান মন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এম আজিজুর রহমান, প্রো-ভিসি ড. ইয়াসমিন আরা লেখা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।