Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীর বিমানে নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
গত বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ অভিযোগ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে যে তদন্ত রিপোর্ট এসেছে, সেখানে নিরাপত্তা ঘাটতি নিশ্চই ছিল। তা না হলে নাট-বল্টু কী করে ঢিলা হয়? নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল। নিরাপত্তা ঘাটতির সুযোগ নিয়ে নাট-বল্টু ঢিলা করা এটাও যে একটা ষড়যন্ত্র নয়, সেটা তো আমরা বলতে পারি না। কাজেই ষড়যন্ত্র চলছে।
সড়কমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন-অর্জনে আমাদের যে অগ্রযাত্রা সেটাকে ব্যাহত করা যাবে না। শেখ হাসিনার কাজের যে গতি, তার যে বিস্ময়কর সাফল্য এই গতিকে আঘাত করে, বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে তা সফল হচ্ছে না। তারা মনে করেছে, যার কারণে বাংলাদেশের সাফল্য এবং সারা দুনিয়ার দৃষ্টি আজ বাংলাদেশে।
কাদের বলেন, যার কারণে আজকে বাংলাদেশের এই সাফল্য, যিনি আমাদের সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স শেখ হাসিনা; তাকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত কাজ করছে না এ কথা আমরা বলতে পারি না। সঙ্গত কারণেই আমরা ভাবছি, বিভিন্ন কারণেই আজকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে আমাদের নেত্রীকে ফিজিক্যালি আক্রমণ করার চেষ্টা আছে।  
বিমানের এই ঘটনার দায় বিমানমন্ত্রী এড়াতে পারে কিনা এমন এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মামলা যখন হয়ে গেছে তখন এটা বিচারাধীন বিষয়। মনুষ্য সৃষ্টির বিষয়টি কোর্ট দেখবে। মন্ত্রী দায় নেবেন, কী নেবেন না এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি। মন্ত্রীর বিষয়ে মন্তব্য করার এখতিয়ার আমার নেই।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন নিয়ে বিএনপির শঙ্কা নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে বিএনপিকে আন্দোলন করার কোনো সুযোগ দেয়া হবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও  ফেয়ার করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বিএনপি নেত্রীকে অনুরোধ করব, না জেনে, না বুঝে অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়বেন না। ৭২ ঘণ্টা আগে বহিরাগতদের প্রচার-প্রচারণায় কোনো বিধিনিষেধ ভঙ্গ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধিতেই তা উল্লেখ আছে। বিগত সিটি নির্বাচনেও তা প্রয়োগ হয়েছে। বিএনপি এত বড় একটি দল, অথচ তারা না জেনেই এই বিষয়ে মন্তব্য করেছে।
নাসিক নির্বাচনে থার্ডপার্টির ‘সহিংসতা’ নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আইভীর আশঙ্কা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখন আর তিনি এ অভিযোগ করছেন না।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে কখনও কোনো নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করছে কিনা এমন প্রশ্ন  রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেনা মোতায়েন বিষয় নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এর আগে পাঁচ সিটি নির্বাচনে বিএনপির জয়ী হয়েছে। তখন তো সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়নি। তারা জিতলে ভালো, না জিতলে খারাপ। তারা (বিএনপি) সেনাবাহিনীকে ভিন্ন কাজে ব্যবহার করে বির্তকিত করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আব্দুর রহমান, আহমদ হোসেন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ফরিদুন্নাহার লাইলী, আবদুস সোবহান গোলাপ, আফজাল হোসেন, আব্দুস সবুর, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, দেলোয়ার হোসেন, বিপ্লব বড়ুয়া, গোলাম রব্বানী চিনু, এ বি এম রিয়াজুল কবির কাউসার, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ