নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এই টেস্টের আগে তার ফর্ম নিয়ে কত আলোচনা-সমালোচনা! টেস্ট দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন পর্যন্ত উঠতে শুরু করেছিল। সবকিছুর জবাব দিলেন তিনি স্বরূপে ফিরে। মাইলফলক টেস্ট রাঙিয়ে তুললেন স্মরণীয় ব্যাটিং কীর্তিতে। শততম টেস্টে দ্বিশতক! তৃতীয় উইকেটে ওয়ার্নার ও স্মিথের জুটি ২৩৯ রানের। দীর্ঘদিনের সতীর্থ ও বহু লড়াইয়ের দুই সঙ্গীর দুইশ রানের জুটি এটিই প্রথম। ওয়ার্নারের ডাবল সেঞ্চুরি আর স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে ডাবল সেঞ্চুরি জুটিতে দিনটা নিজেদের করে নিল অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিংকে পাত্তা না দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রান ৩ উইকেটে ৩৮৬। লিড এখনই হয়ে গেছে ১৯৭ রানের। এ দিন খেলা হয়েছে ৭৯ ওভার, অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৩৪১ রান।
২০২০ সালের জানুয়ারির পর টেস্টে আবার তিন অঙ্কের স্বাদ পেলেন ওয়ার্নার। ২৭ ইনিংসের খরা কাটিয়ে খেললেন ২০০ রানের ইনিংস। শততম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি টেস্ট ইতিহাসে ছিল আর কেবল জো রুটের। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে ইংলিশ ব্যাটসম্যান করেছিলেন ২১৮। শততম ম্যাচের উপলক্ষ রঙিন করে তোলা অবশ্য ওয়ার্নারের জন্য নতুন কিছু নয়। শততম ওয়ানডেতেও তিনি করেছিলেন সেঞ্চুরি! তার আগে টেস্ট-ওয়ানডে দুই সংস্করণেই ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরিতে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করতে পেরেছিলেন শুধু ক্যারিবিয়ান গ্রেট গর্ডন গ্রিনিজ।
প্রায় তিন বছরের সেঞ্চুরি খরাই শুধু নয়, আগের টানা ১০ ইনিংসে ফিফটি ছিল না ওয়ার্নারের। ব্যাট হাতে তাকে মনে হচ্ছিল অচেনা আর নড়বড়ে। কিন্তু এই ইনিংসে নিজেকে মেলে ধরেন তিনি সেরা সময়ের রূপেই। দুর্দান্ত সব পুল, কাট আর ড্রাইভে ছাপ রাখেন দাপট আর কর্তৃত্বের। কয়েকবার অবশ্য ভাগ্যের সহায়তাও পান। তার ব্যাটের কানায় লেগে বল বাউন্ডারিতে যায় তিন দফায়। আনরিক নরকিয়ার একটি গতিময় বাউন্সার তার হেলমেটে ছোবল দিয়ে চলে যায় সীমানার বাইরে। তবে সব বাধা উতরেই তিনি নাম লেখান রেকর্ড বইয়ে।
শুধু ব্যাটিং স্কিল আর দুঃসময়ের সঙ্গে লড়াইয়ের মানসিক চাপই নয়, ফিটনেসের পরীক্ষাও দিতে হয় ওয়ার্নারকে এ দিন। ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই তাপমাত্রায় দিনজুড়ে ব্যাটিং করা, তিন দফায় দৌড়েই চার রান নিয়ে সেই পরীক্ষায়ও তিনি উতরে যান। তবে প্রচণ্ড গরমে পানিশূন্যতায় পায়ে ক্র্যাম্প করে তার কয়েকবার। শেষ পর্যন্ত ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সে কারণেই।
ডাবল সেঞ্চুরির উদযাপনে চেনা সেই লাফ দিয়েছিলেন ওয়ার্নার। মাটিতে পা রাখার সময় বাঁধে বিপত্তি। টান লাগে পায়ে। প্রচণ্ড গরমে তার পায়ে ক্র্যাম্প করছিল আগে থেকেই। একটু আগেও যে মুখে ছিল হাসি, সেই চেহারাই কুঁকড়ে গেল যন্ত্রণায়। শেষ পর্যন্ত দুজনের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। তার চোখ দিয়ে তখন ঝরছে পানি। ধারাভাষ্যে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট তা ফুটিয়ে তুললেন চমৎকারভাবে, ‘আনন্দের কান্না, বেদনার কান্না...’।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দ.আফ্রিকা ১ম ইনিংস : ১৮৯।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : (আগের দিন ৪৫/১) ৯১ ওভারে ৩৮৬/৩ (ওয়ার্নার ২০০ আহত অবসর, খাওয়াজা ১, লাবুশেন ১৪, স্মিথ ৮৫, হেড ৪৮*, গ্রিন ৬ আহত অবসর, কেয়ারি ৯*; রাবাদা ১/৯৪, এনগিডি ২/৬২, নরকিয়া ১/৫০)। দ্বিতীয় দিন শেষে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।