Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান মিয়ানমারেই হতে হবে রেতনো মারসুদি

| প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম


ইন্দোনেশিয়ায় আইওআরএর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ইন্দোনেশিয়ায় আগামী মার্চ মাসে অনুষ্ঠেয় ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সফররত ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো এল পি মারসুদি গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো বিদোদোর আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোর মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও প্রগতি জোরদারে সহযোগিতার লক্ষ্যে আগামী ৭ মার্চ ইন্দোনেশিয়ার বালিতে আইওআরএর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হবে।
ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী ২১টি দেশ নিয়ে এ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি গঠিত হয়েছে, যা আগে ইন্ডিয়ান ওশান রিম ইনিশিয়েটিভ অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন (আইওআর-এআরসি) নামে পরিচিত ছিল। এ সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কমোরস, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মালয়েশিয়া, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, ওমান, সেইসেলস, সোমালিয়া, সিঙ্গাপুর, সাউথ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই তাদের অনিবন্ধিত নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আসিয়ান সদস্য দেশগুলো এ সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করবে।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তিনি অবশ্য বাংলাদেশে অবস্থানরত অনিবন্ধিত মিয়ানমারের নাগরিকদের ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কক্সবাজারে শরণার্থীদের অবস্থানস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মাটিকে প্রতিবেশী কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে না দেয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব মো: শহীদুল হক এবং ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত আইভান বিরানাতাতমাদজা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে একদিনের সফর শেষে গত মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরে গেছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো এল পি মারসুদি। মারসুদি হচ্ছেন প্রথম কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী যিনি বার্মার সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন এবং পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেছেন। তার সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও ছিলেন। রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বার্মায় আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোর সাথে বৈঠকের পর ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র বাংলাদেশ সফরে আসলেন।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সমস্যার উৎপত্তি মিয়ানমারে এবং এর সমাধান সেখানেই হতে হবে বলে মনে করেন রেতনো মারসুদি। এত বলা হয়, তিনি এ-ও মনে করেন যে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকার যে পদক্ষেপ নেবে, তাকে সমর্থন জানানো প্রয়োজন। একই সঙ্গে সীমান্তে উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পর্ক, যোগাযোগ ও সমন্বয়ের গুরুত্বের কথা বলেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ