মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তালেবান প্রশাসন আফগানিস্তানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর নিন্দায় সোচ্চার হয়েছে গোটা বিশ্ব। আফগান ছাত্রীরা প্রকাশ্যে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশের মারও খেয়েছেন। এবার প্রতিবাদে যোগ দিলেন আফগান ছাত্ররাও। সাফ জানিয়ে দিলেন, যেখানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ নেই, সেই শিক্ষা চান না তারাও। মেয়েরা ক্লাস করতে না পারলে তারাও যোগ দেবেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে। এভাবেই তারা সহপাঠী বান্ধবীদের পাশে দাঁড়াতে চাইলেন।
রাজপথে প্রতিবাদে মোজাম্মেল নামে এক ছাত্রকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘যতক্ষণ না মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলছে, আমরাও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ বন্ধ রাখব। আমাদের এই ক্লাস বয়কট চলবে। দরকারে আর এমন শিক্ষা নেবই না।’ আরেক ছাত্র নবিদুল্লা নামের বলেছেন, ‘আমাদের বোনেদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই আমরাও আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাই না।’
গত বছরের আগস্টে নতুন করে আফগানিস্তান দখল করার পর তালেবান আশ্বাস দিয়েছিল, এটা তালেবান ২.০। যারা নারী স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতার মতো বিষয়গুলিতে বিশ্বাস করে। কিন্তু সেই কথা যে স্রেফ কথার কথা ছিল, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল কয়েক দিনের মধ্যেই। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়কালেও মেয়েদের উচ্চশিক্ষার অধিকার ছিল না। এছাড়াও পরকীয়া, চুরির মতো ঘটনায় প্রকাশ্যে বেত মারা এমনকী মেরে ফেলার ঘটনাও ছিল স্বাভাবিক। সেই বিষয়গুলিই নতুন করে কার্যকর হচ্ছে।
গত কয়েক মাসে একের পর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে মহিলাদের উপরে। মিডল স্কুল ও হাই স্কুলে পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মেয়েদের কাজ করার অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়। এছাড়াও রাস্তায় একা চলাফেরা, বোরখা পরা নিয়েও কঠোর নিয়ম জারি করা হয়েছে। সঙ্গে একজন পুরুষ না থাকলে পার্ক ও জিমে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না মেয়েদের।
তালেবানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মহম্মদ নাদিম আফগানিস্তানের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উপরে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা অবধি মহিলাদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেয়া যাবে না। এবার সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে শিক্ষার্থীরা। সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।