Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারী বস্তুর সাথে মাথায় আঘাত পেয়ে ফারদিন মারা গেছে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১১:৫৭ এএম

ভারী বস্তুর সাথে মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূরের মৃত্যু হয়েছে। ফারদিনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন চিকিৎসক।

অপরদিকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন বলেন, ‘চিকিৎসক, মামলার তদন্ত সংস্থা ও ছায়া তদন্তকারীরা এখন একই সুরে কথা বলছেন। এটা আমার পরিবার ও ছেলের প্রতি অবিচার।’

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকেরা আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।

এদিকে ভিসেরা প্রতিবেদনেও ফারদিনের শরীরে বিষ বা রাসায়নিক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন মশিউর রহমান বলেন, ‘ফারদিনের ময়নাতদন্ত শেষে আমরা আগে যেটা বলেছিলাম, সেটাই আছে, আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’ তিনি বলেন, তার ভিসেরা প্রতিবেদনেও বিষ বা রাসায়নিক কোনো কিছু কিছু পাওয়া যায়নি।

ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন, তদন্ত সংস্থার এমন ভাষ্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন মশিউর রহমান বলেন, ওপর থেকে লাফ দিয়ে পড়ে কোনো ভারী বস্তুর সাথে আঘাত পেয়ে তার শরীরে আঘাতগুলো সৃষ্টি হয়েছে-এ কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবির কর্মকর্তারা বলেন, চিকিৎসকেরা ময়নাতদন্ত, ভিসেরা প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তারা প্রতিবেদন পাননি। তবে ফারদিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।

এর আগে ফারদিনের সহপাঠীরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তদন্তকারীরা আত্মহত্যার কথা বলার পর তাদের মনে পাঁচটি প্রশ্ন জেগেছিল। ডিবি ও র‌্যাবের কাছে সেসব বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন তারা। দুটি সংস্থাই তথ্যপ্রমাণ দিয়ে তাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। এখন সন্দেহ করার মতো আর কোনো বিষয় নেই।

শিক্ষার্থীরা ডিবি ও র‍্যাবের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক বলেছিলেন ফারদিনের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাহলে এখন কীভাবে আত্মহত্যা হলো? পরবর্তী সময়ে র‍্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ ওই ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানিয়েছে, ফারদিনের শরীরে থাকা আঘাতগুলো সেতু থেকে লাফ দেয়া কিংবা পানির আঘাত ও স্প্যানের আঘাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় জিডি করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা মামলা করেন। মামলায় ছেলের এক মেয়ে বন্ধুকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।



 

Show all comments
  • hassan ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০২ পিএম says : 0
    ফারদিন কে কারা হত্যা করেছে আল্লাহ সবকিছু রেকর্ড করে রেখেছেন হয়তোবা তাদেরকে এই দুনিয়াতেই শাস্তি দিবেন আল্লাহ এবং পরকালে জাহান্নাম দিবেন অথবা পরকালে তাদেরকে জাহান্নামে দিবেন ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ