Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সেঞ্চুরিতে রানের চূড়ায় বাবর

ফিফটিতে সরফরাজের দ্বিতীয় শুরু

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দীর্ঘ ২০ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। গতকাল করচিতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচের আগে বহু নতুনের সামনে দাঁড়িয়ে দুই দেশের ক্রিকেট। কেন উইলিয়ামসন যুগের অবসানের পর কিউদের সাদা পোষাকের যাত্রা শুরু হলো টিম সাউদির নেতৃত্বের মাধ্যমে। অন্যদিকে পাকিস্তান দলে প্রায় চার বছর পর টেস্ট খেলতে নামা সরফরাজ আহমেদ দেখালেন এখনো ফুরিয়ে যাননি তিনি। যদিও শতকের দ্বোরগোড়ায় গিয়ে থামতে হয়ে এই কিপার-ব্যাটারকে। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে দিনের সব আলো কেড়ে নিলেন বাবর আজম। সব সংস্করণ মিলিয়ে এক বর্ষপঞ্জিকায় পাকিস্তানি হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডটি নিজের করে নিয়েছেন স্বাগতিক অধিনায়ক। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলার কীর্তিটিও এখন তার। গতকাল পাকিস্তানের সাবেক ও বর্তমান কাপ্তানের ব্যাটিং দৃঢতায় ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি দিন শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৩১৭ রান নিয়ে।
টসে হারা নিউজিল্যান্ড দিনের শুরুর বোলিংটা দারুণ করেছে। স্বাগতিকরা তো কক্ষপথ থেকে প্রায় ছিটকেই পড়েছিল। দুই ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হকের সঙ্গে শান মাসুদের উইকেট হারালো তারা প্রথম ঘন্টাতেই। স্পিনারদের টার্ন নাকচ করে খেলতে গিয়ে এজাজ প্যাটেলের বলে শফিক ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে স্টাম্পিং হন মাসুদ। এমন কীর্তি টেস্ট ইতিহাসই দেখল প্রথম। ছেলেদের টেস্টে এই প্রথমবার ম্যাচের প্রথম দুটি উইকেটই পড়ল স্টাম্পিংয়ে! এর আগে ১৯৭৬ সালে নারী টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম দুই উইকেট পড়েছিল স্টাম্পড হয়ে। ইমাম আউট হন ব্রেসওয়েলকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে। প্রাথমিক সেই বিপর্যয় পাকিস্তান উতরে যায় বাবর ও সউদ শাকিলের ৬২ রানের জুটিতে।
পরের গল্পটা বাবর ও সরফরাজের। ১২ রানে ড্যারিল মিচেলের হাতে সিøপে জীবন পান বাবর, মধ্যাহ্নবিরতির পর প্রথম ওভারে সম্ভাব্য রানআউট থেকেও বাঁচেন। এরপর ফিরে তাকাননি আর। চা-বিরতির আগে, ৯৭ রান থেকে ছক্কা হাঁকিয়ে পেয়ে যান ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট শতকও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাবরের এটি ২৮তম সেঞ্চুরি। অন্যদিকে পাকিস্তানের হয়ে এতদিন এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রান ছিল মোহাম্মদ ইউসুফের। ২০০৬ সালে ৩৯ ইনিংসে ২ হাজার ৪৩৫ রান করেছিলেন এই কিংবদন্তী। সব দল মিলিয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড রিকি পন্টিংয়ের। ২০০৫ সালে ৯ সেঞ্চুরি ও ১৫ ফিফটিতে করেছিলেন তিনি ২ হাজার ৮৩৩ রান। অজি মাস্টার ব্যাটারকে স্পর্ষ করতে বাবরের প্রয়োজন আর ১৪০ রান। তবে সেটি এই ম্যাচেই করতে হবে। সব দল মিলিয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড রিকি পন্টিংয়ের। ২০০৫ সালে ৯ সেঞ্চুরি ও ১৫ ফিফটিতে করেছিলেন তিনি ২ হাজার ৮৩৩ রান।
বাবর ছুঁয়েছেন আরও একটি মাইলফলকও। চলতি বছর এ নিয়ে ২৫টি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলে তিনি যৌথভেবে সর্বোচ্চ স্থানটি দখল করলেন কুমার সাঙ্গাকারার সঙ্গে। লঙ্কান মহাতারকা ২০১৪ সালে রেকর্ডটি গড়েছিলেন ।
অন্যদিকে ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর আবার টেস্ট খেলতে নামা সরফরাজ পঞ্চাশ স্পর্ষ করলেন ঝড়ের গতিতে। শুরুতে একটু নড়বড়ে ছিলেন, তবে ধীরে ধীরে মানিয়ে নেন লাল বলে। স্মরণীয় এক সেঞ্চুরির পথেই এগোচ্ছিলেন। শেষ বেলায় এজাজের বলে সিøপে ক্যাচ দিয়ে আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিন অংক থেকে ১৪ রান দূরে দাঁড়িয়ে। বাবরের সঙ্গে তার জুটি থামে ১৯৬ রানে। বাকিটা সময় আঘা সালমানকে নিয়ে কাটিয়ে দেন বাবর। পাকিস্তান অধিনায়ক দিন শেষ করেন অপরাজিত ছিলেন ১৬১ রান নিয়ে। এখন পর্যন্ত ইনিংসে ১৫টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মেরেছেন বাবর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ